তিরুবনন্তপুরম: আপাতত স্বস্তি পেলেন কেরলের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সোমবার বিকেলে, কেরল হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপালের চূড়ান্ত আদেশ না আসা পর্যন্ত তারা নিজেদের পদে বহাল থাকবেন। রবিবারই, আচার্য তথা কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান এই উপাচার্যদের সোমবার বেলা ১টার মধ্যে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, এদিন তাঁরা কেউ ইস্তফা না দেওয়ায় রাজ্যপাল তাঁদের প্রত্যেককে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছেন। আদালত বলেছে, চ্যান্সেলর সেই কারণ দর্শানোর নোটিসের ভিত্তিতে রাজ্যপাল তাঁদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপাচার্যরা সকলেই তাঁদের পদে বহাল থাকতে পারেন।
এদিন কেরল হাইকোর্ট রাজ্যপালের ২৩ অক্টোবর জারি নির্দেশের বিষয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে। আদালত জানিয়েছে, কাউকে পদত্যাগ করতে বলা যাবে না। বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রনের একক বেঞ্চ বলেছে, “কাউকে যে পদত্যাগ করতে বলা যাবে না, তা বলার জন্য খুব বেশি বিচারের প্রয়োজন নেই। এদিন আবেদনকারীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। এর অর্থ, গতকাল রাজ্যপাল যে নির্দেশের জারি করেছিলেন, তা প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে এবং উপাচার্যরা এখনও চাকরিতে বহাল রয়েছেন।”
আদালত বিস্ময় প্রকাশ করেছে, রাজ্যপাল যদি মনে করেন, শুরু থেকেই উপাচার্যদের নিয়োগ ভুল ছিল, তাহলে তিনি কীভাবে বলতে পারেন ২২ তারিখ থেকে তাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে? হাইকোর্ট বলেছে, সঠিক তদন্ত এবং চিন্তাভাবনার প্রয়োজন ছিল। কারণ, আবেদনকারীদের কাছে নির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আদালত এদিন কোনও বিরোধের মীমাংসার রাস্তায় হাঁটেনি। বেঞ্চ বলেছে, “আবেদনকারীদের যুক্তি যে চ্যান্সেলর কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করতে পারবেন না, এটিও ‘ওপেন’ রেখে দেওয়া হয়েছে এবং সমস্ত প্রতিকারের রাস্তাও খোলা রাখা হয়েছে। এমনকি, আবেদনকারীরা এই আদেশ অস্বীকারও করতে পারবেন।”