তিরুবন্তপুরম: বাড়িতেই সুরক্ষিত ছিল না ছোট্ট মেয়েটি। মা বাড়িতে না থাকলে সৎ বাবা যৌন নির্যাতন করত। দিনের পর দিন এভাবেই কেটেছে। অবশেষে বন্ধুর পরামর্শে মাকে সব কথা খুলে বলে নাবালিকা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে নাবালিকার সৎ বাবাকে। আর সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে ১৪১ বছরের জেল হল ওই ব্যক্তির। ঘটনাটি কেরলের।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে দিনের পর দিন সৎ বাবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ওই নাবালিকা। তার মা বাড়ির বাইরে গেলেই চলত যৌন নির্যাতন। একদিন সাহস করে বন্ধুকে সব ঘটনা খুলে বলে নাবালিকা। বন্ধু সব কথা তার মাকে জানাতে বলে। তারপরই সৎ বাবার নির্যাতনের কথা মাকে জানায় নাবালিকা। তৎক্ষণাৎ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। অভিযোগ পেয়ে নাবালিকার সৎ বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতকাল মনজেরি ফাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালতের বিচারক আশরফ এএম এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। সৎ মেয়েকে যৌন নির্যাতনের দায়ে ১৪১ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। তবে দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তিকে ৪০ বছর জেলে কাটাতে হবে। একাধিক ধারায় ওই ব্যক্তিকে একাধিক সাজার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সেইসব যোগ করেই ১৪১ বছর হচ্ছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৪০ বছর কারাদণ্ড রয়েছে। সব কারাদণ্ডের মেয়াদ একসঙ্গেই চলবে। ফলে ৪০ বছর শেষে জেল থেকে মুক্তি পাবে ওই ব্যক্তি। দোষীসাব্যস্ত ব্যক্তিকে ৭.৮৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। ওই জরিমানার টাকা নাবালিকাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।