নয়া দিল্লি: উত্তর থেকে দক্ষিণ, দেশজুড়েই চলছে বৃষ্টির দাপট। বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করলেও নিম্নচাপের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে একদিকে যেমন কেরলের চারটি বাঁধ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে, তেমনই হড়পা বান ও ভূমিধসে উত্তরাখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২-এ দাঁড়িয়েছে।
আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে জানানো হয়েছে, উত্তর তেলঙ্গনার উপরে নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর উপকূল থেকে ঢুকছে দক্ষিণী-পূবালি বাতাস। এই কারণেই আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, লাগোয়া ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও প্রবল বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টির জেরে দুই রাজ্যের নদীগুলিতেই জলস্তর বাড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে, এরফলে নীচু এলাকার ঘরবাড়িগুলি ফের একবার প্লাবিত হতে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের মতো পার্বত্য অঞ্চলগুলিতেও ফের ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। ওডিশাতেও আগামিকাল অবধি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মৎসজীবীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টা সমুদ্রে যেতে নিষেধস করা হয়েছে।
বুধবার অবধি পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। আগামী চার-পাঁচদিন দক্ষিণ ভারতেকর উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল অবধি পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে। পার্বত্য অঞ্চলগুলিতে ধস নামার সম্ভাবনাও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, বিহার, মধ্য প্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, উত্তর প্রদেশেও শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফতেহপুর ও বরেলিতে দুইজন করে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে দুর্যোগের কারণে।
বৃষ্টি কিছুটা কমলেও এখনও বিপদ কাটেনি কেরলের উপর থেকে। ইদ্দুকি, পাম্বা, কাক্কি ও ইদামালায়ার নামক চারটি বাঁধ থেকে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এই বাঁধগুললির আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং বন্যার আশঙ্কায় অনত্র স্থানান্তরিত হতে বলা হয়েছে।