তিরুবনন্তপুরম: বাড়িতে সন্তান প্রসব করেছেন। তারপর সদ্যোজাতকে বালতিতে ফেলে দিয়ে রেখেই রক্তাক্ত অবস্থায় মা হাসপাতালে ছুটলেন। চিকিৎসকেরা সন্তানের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি অবলীলায় জানান, সদ্যোজাতকে বাড়ির বাথরুমে বালতির মধ্যে ফেলে এসেছেন। তারপর বালতি করে সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে গেল পুলিশ। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনই ঘটনার সাক্ষী হল কেরল। বালতি করে সদ্যোজাতকে পুলিশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। তবে মা কী ভাবে নিজের সন্তানকে জন্মের পরই বালতির মধ্যে ফেলে দিতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।
ভিডিয়োটিতে ঠিক কী দেখা যাচ্ছে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, কাপড়ে মোড়া সদ্যোজাত পড়ে রয়েছে একটি বালতির মধ্যে। আর তার প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীরা সেই বালতি নিয়ে হাসপাতালের দিকে দৌড়চ্ছেন।
സ്വകാര്യ ആശുപത്രിയിൽ നിന്നും ഒരു യുവതി ബ്ലീഡിങ്ങായി ചികിത്സയിലാണെന്നും, അതിൽ അസ്വാഭാവികത ഉണ്ടെന്നുമുള്ള ഇന്റിമേഷൻ ചെങ്ങന്നൂർ സ്റ്റേഷനിൽ ലഭിക്കുമ്പോൾ സമയം രാവിലെ 9.10. ഉടൻ തന്നെ പോലീസ് ഹോസ്പിറ്റലിലേക്ക് പാഞ്ഞെത്തി. https://t.co/n0jObqn1Q6#keralapolice #ChildRescue pic.twitter.com/uvkcLil4a3
— Kerala Police (@TheKeralaPolice) April 4, 2023
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সদ্যোজাতকে বাথরুমে বালতির মধ্যে ফেলে রেখে মায়ের হাসপাতালে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের আলাপুঝা জেলায়। তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সন্তান প্রসবের পরই তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় একাকী চেঙ্গানুর হাসপাতালে দৌড়ে যান এবং সদ্যোজাতকে বাড়ির বাথরুমে বালতিতে ফেলে রাখার কথা জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। তারপর খবর পেয়ে পুলিশ ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে। পুলিশের তৎপরতায় অবশ্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছে শিশুটি। তবে তার অবস্থা গুরুতর।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সদ্যোজাতটির ওজন হয়েছে ১.৩ কিলোগ্রাম। পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে চেঙ্গানুর হাসপাতালেই ভর্তি করে। কিন্তু, অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সদ্যোজাতটিকে কোত্তায়াম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, শিশুটি সুস্থ হলে তাকে কার কাছে রাখা ঠিক হবে, শিশুটি তার মায়ের কাছে আদৌ সুরক্ষিত কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই শিশুটির সুরক্ষার জন্য পাথানামথিত্তা শিশু সুরক্ষা কমিটি ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে সাহায্য চেয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, ওই মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছে কেরল পুলিশ।