নয়াদিল্লি: শুরু হল অধিবেশন। খানিকটা উত্তেজনা। খানিকটা ‘বিরোধী সুর’। আর সেই সকল ‘অশান্তি’কে উপেক্ষা করেই ট্যাব দেখে বাজেট পড়া শুরু করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। টানা অষ্টম বার বাজেট পেশ করছেন তিনি। ইতিহাস বলছে, তিনিই প্রথম। এর আগে কেউ টানা এতবার বাজেট পড়েননি।
এদিন সংসদে যাওয়ার আগে অর্থমন্ত্রী পৌঁছে যান রাষ্ট্রপতি ভবনে। দেখা করেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। সেখানে পাশ হয় বাজেট। অনুমোদন মেলে মন্ত্রিসভায়। তারপর ১১টার খানিক আগে ঢুকে পড়েন সংসদে। পরনে সাদা শাড়ি, সোনালি রঙের পাড় আর সঙ্গে গোটা শাড়ি জুড়ে করা মধুবনী শিল্প। বরাবরই নিজের বাজেটের দিনের ফ্যাশনে দেশবাসীর ‘মন কেড়েছেন’ তিনি। প্রতি বছরই অর্থমন্ত্রীর শাড়িতে উঠে আসে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পকলা। চলতি বছর নির্মলার শাড়িতে দেখা গেল এক টুকরো বিহার।
কার হাতে বোনা এই শাড়ি?
পরবেন অর্থমন্ত্রী, তাও আবার বাজেটের দিনে। সুতরাং, এই শাড়ির গুরুত্ব যে সাধারণের থেকে অনেকটা বেশি, তা নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। আর শুধু তা-ই নয়, কোনও সাধারণ শিল্পী কিন্তু তৈরি করেননি এই শাড়ি। করেছেন একজন পদ্মশ্রী সম্মাননা। তাঁর নাম দুলারি দেবী। অর্থমন্ত্রীকে এই শাড়িটি উপহার দিয়েছেন তিনিই।
২০২১ সালে পদ্মশ্রী পান দুলারী দেবী। সেই সময় মিথিলা শিল্পকলা প্রতিষ্ঠানে সফরে গিয়ে বিহারের মধুবনী শিল্প ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুলারী দেবীর সঙ্গে অনেকটা সময় ধরে আলোচনা চালিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তখন অর্থমন্ত্রীকে এই শাড়িটি উপহার দেন দুলারী দেবী এবং অনুরোধ করেন যেন বাজেটের দিনেই এই শাড়িটি পরেন মন্ত্রী।