ক্যাবের ভাড়া নিয়ে নিত্য হয়রানির শেষ নেই। অ্যাপে যতই ভাড়া দেখাক না কেন, ফোন করলেই চালকরা বলেন ‘দাদা একটু বাড়িয়ে দিতে হবে’। আবার উলটো দিক থেকে ক্যাব চালকদের দাবি ওলা, উবের বা র্যাপিডো যাই হোক না কেন, ন্যায্য মূল্যের থেকে কম ভাড়া প্রদর্শন করে। এই সব অ্যাপগুলি প্রতিযোগীতার মধ্যে টিকে থাকতে কম ভাড়া দেখায়, যার মাশুল দিতে হয় ক্যাব চালকদের। যা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে হায়দরাবাদে। এমনকি কিছুদিন আগেই বিমানবন্দরে যাবেন না বলেও ঘোষণা করেন ক্যাব চালকরা। এর পরেই ২৪ মার্চ সোমবার থেকে নতুন কর্মসূচির ডাক দিল তাঁরা। ‘নো এসি ক্যাম্পেন’-এর ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ কোনও গাড়িতে এসি চালাবেন না বলে জানিয়েছেন।
এক্স মাধ্যমে একটি পোস্টে, তেলেঙ্গানা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (TGPWU) বলে, “হায়দ্রাবাদের ক্যাব চালকরা ২৪শে মার্চ থেকে ‘নো এসি ক্যাম্পেইন’ শুরু করবেন।”
টিজিপিডব্লিউইউ চায় ওলা, উবের এবং র্যাপিডোর মতো ক্যাব অ্যাগ্রিগেটররা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রিপেইড ট্যাক্সি ভাড়ার মতো একটি অভিন্ন ভাড়া কাঠামো গ্রহণ করুক। এই কাঠামোতে জ্বালানি খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ এবং চালকদের পরিষেবার জন্য ন্যায্য ক্ষতিপূরণ বিবেচনা করা হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের এপ্রিলে, ইউনিয়ন একটি ‘নো এসি ক্যাম্পেইন’ ডাক দিয়েছিল। তাঁদের যুক্তি ছিল ক্যাব চালকরা প্রতি কিলোমিটারে ১০-১২ টাকা আয় করেন, অথচ এসি চালালে খরচ পড়ে যায় প্রতি কিলোমিটারে ১৬-১৮ টাকা।
তেলেঙ্গানা টূডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তেলেঙ্গানা গিগ অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (TGPWU) সভাপতি শাইখ সালাহউদ্দিন জান্যেছেন যে ইউনিয়ন ওলা, উবের এবং র্যাপিডোর মতো ক্যাব অ্যাগ্রিগেটরদের অন্যায্য মূল্য নির্ধারণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ‘নো এসি ক্যাম্পেইন’ শুরু করবে।
সালাউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন যে ক্যাব অ্যাগ্রিগেটর এবং প্রি-পেইড ট্যাক্সির ভাড়ার মধ্যে বৈষম্য রয়েছে, এমনকি প্রায় ৩০০-৪০০ টাকার পার্থক্য হয় অনেক সময়। বিশেষত বিমানবন্দরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা (প্রায় ৩-৪ ঘন্টা) এবংঅ্যাগ্রিগেটরদের ৩০ শতাংশ কমিশন দেওয়ার ফলে এই পার্থক্য তৈরি হয়। সেখানে এসি চালালে জ্বালানির খরচ অনেকটা বেড়ে যায়। TGPWU গ্রাহকদের, ক্যাব চালকদের আর্থিক সংগ্রামের কথা চিন্তা করে তাঁদের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।
তেলেঙ্গানা টুডে-র প্রতিবেদন অনুসারে, ‘নো এসি ক্যাম্পেইন’ অনুসরণ করে বেশ কিছু ক্যাব চালক তাঁদের গাড়ি রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (আরটিএ) কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
টিজিপিডব্লিউইউ বিষয়টিতে সরকারকে হস্তক্ষেপ করার এবং ক্যাব অ্যাগ্রিগেটরদের জন্য মূল্য নীতি নিয়ন্ত্রণ করে, ইউনিফর্ম এবং ন্যায্য চার্জ প্রয়োগ করে ক্যাব চালকদের জন্য ত্রাণ প্রদানের অনুরোধ করেছে।