TV9 বাংলা ডিজিটাল : ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের(Supreme Court) বিরুদ্ধে ‘কুরুচিকর’ টুইট করে বিতর্কে জড়ান কমেডিয়ান কুণাল কামরা(Kunal Kamra)। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল । তবে, কুণালের সাফ জবাব, ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই।
আজ কুণাল টুইট করে স্পষ্টই জানিয়ে দেন(Kunal Kamra tweeted on Supreme Court), তিনি ক্ষমা চাইবেন না। তাঁর এসবের জন্য সময় নেই। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)সঙ্গে নয়, তাঁর বিরোধ অর্ণবের(Arnab Goswami) সঙ্গে।
No lawyers, No apology, No fine, No waste of space ??? pic.twitter.com/B1U7dkVB1W
— Kunal Kamra (@kunalkamra88) November 13, 2020
২০১৮ সালের অন্বয় নায়েক ও কুমুদ নায়েক আত্মহত্যা মামলায় গত বুধবার অন্তবর্তীকালীন জামিন পান রিপাবলিক টিভি এডিটর অর্ণব গোস্বামী, ফিরোজ শেখ ও নীতীশ সারদা। সুপ্রিমকোর্টের(Supreme Court) এই বিচারের বিরোধিতা করেন কুণাল(Kunal Kamra)। টুইটে তিনি লেখেন, সুপ্রিম কোর্ট এখন সুপ্রিম জোকে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কেও নিশানা করেন কুণাল(Kunal Kamra)।
আরও পড়ুন:‘সুপ্রিম কোর্ট ইজ় আ সুপ্রিম জোক’বেঁফাস মন্তব্য করে আদালত অবমাননার মুখে কমেডিয়ান
কুণালের(Kunal Kamra) টুইটের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আর্জি করেন আইনজীবীদের একাংশ। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল (K K Venugopal) আরও বলেন , “কুণাল তাঁর মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। টুইটগুলি অত্যন্ত আপত্তিকর এবং এটা সম্ভবত আদালত সিদ্ধান্ত নেবে যে সেই টুইটগুলি সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালত অবমাননা শুরু হবে কিনা।’ একই সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমার মনে হয়, বর্তমানে মানুষ মনে করেন, বাক স্বাধীনতার ক্ষমতা প্রয়োগ করে খোলাখুলি এবং নির্লজ্জভাবে সুপ্রিম কোর্ট ও বিচারপতিদের নিন্দা করতে পারেন। কিন্তু সংবিধানে বাকস্বাধীনতার অবমাননার বিষয়টিও আছে এবং আমার মতে, এটাই মানুষের বোঝার সময় অযাচিত এবং নির্লজ্জভাবে সুপ্রিম কোর্টকে আক্রমণ করলে ১৯৭২ সালে আদালত অবমাননার আইনে শাস্তি মিলতে পারে। ”
কামরার টুইটার ঝড় থামাতে শ্রীরঙ্গ কাত্নেশ্বর-সহ আরও দুই আইনজীবী চিঠি দিয়েছেন অ্যাটর্নিকে। কিন্তু নারাজ কুণাল। ক্ষমা চাইবেন না তিনি। টুইটে তিনি স্পষ্টই জানান, “কোর্টের কাছে আমার ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই। আমি কেবল আমার মত প্রকাশ করেছি। একজন সাধারণ দর্শক হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও ভিআইপি অভিযুক্তের মামলার রায়টি কী হয় তা দেখেই আমার এই সিদ্ধান্ত। এখন আমার মনে হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট দেশের সবচেয়ে দুর্লভ পণ্য।”
প্রসঙ্গত, কুণাল-অর্ণব বিদ্বেষ নতুন নয় । এর আগে, বিমানে সহ-সফর করতে গিয়ে অর্ণবের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন কুণাল। বিতর্কিত সেই ভিডিয়ো ঝড় তুলেছিল দেশে। কুণালের বিমানযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল একাধিক উড়ান সংস্থা। নেটিজেনদের একাংশের মতে কুণাল কেবলই অর্ণবের মতো জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টা করছেন । কিন্তু , অর্ণব আর কুণাল এক নন। কুণালের এই বিরুদ্ধাচারণ আদপে কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা ।