নয়া দিল্লি: চলে গেলেন প্রখ্যাত আইনজীবী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী শান্তি ভূষণ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দিল্লিতে তাঁর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনী জয়কে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ কোর্টে রাজ নারায়ণ যে মামলা করেছিলেন, সেই মামলায় রাজ নারায়ণের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শান্তি ভূষণই। এই মামলায় জয়ের ফলেই নড়ে গিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার। বরাবরই তিনি বিভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে মামলা লড়েছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদাই সরব ছিলেন। একই সঙ্গে নাগরিক স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে গিয়েছেন সারা জীবন ধরে।
১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধীর পরাজয়ের পর, মোরারজি দেশাইয়ের নেতৃত্বে যে জনতা দল সরকার গঠিত হয়েছিল, সেই সরকারের আইনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন শান্তি ভূষণ। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ – দুই বছর এই পদে ছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে তিনি ‘সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন’ নামে একটি এনজিও স্থাপন করেছিলেন শান্তি ভূষণ। পরবর্তীকালে এই এনজিও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছে।
তাঁর ছেলে প্রশান্ত ভূষণও একজন খ্যাতনামা আইনজীবী তথা সমাজকর্মী। শান্তি ভূষণের প্রয়াণে, তিনি বলেছেন, “একটা যুগের অবসান হল। স্বাধীনতার পর থেকে সংবিধান ও আইনি ব্যবস্থার বিবর্তনকে তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন। তিনি তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা দুটি বইয়ে লিখেছেন – ‘কোর্টিং ডেস্টিনি’ এবং ‘মাই সেকেন্ড ইনিংস’। আমি শুধু বলতে পারি যে, তাঁর প্রয়াণ আমাদের সকলের জন্য একটি অপরিমেয় ক্ষতি।”