Jaish-e-Mohammed: পুজোর মুখে স্টেশনে স্টেশনে জইশ-ই-মহম্মদের হামলার হুমকি!

Jaish-e-Mohammed: রাজস্থানের আটটি রেল স্টেশনে বোমা হামলার হুমকি চিঠি পাঠাল পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, জইশ-ই-মহম্মদ। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে ডাকযোগে চিঠিটি পেয়েছেন হনুমানগড়ের স্টেশন মাস্টার বলে জানা গিয়েছে। সন্ধ্যায় তিনি স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি জানান।

Jaish-e-Mohammed: পুজোর মুখে স্টেশনে স্টেশনে জইশ-ই-মহম্মদের হামলার হুমকি!
ফাইল ছবি Image Credit source: ANI
Follow Us:
| Updated on: Oct 02, 2024 | 5:11 PM

জয়পুর: পুজোর মুখেই আটটি রেলস্টেশন বোমা হামলার হুমকি! রাজস্থানের আটটি রেল স্টেশনে বোমা হামলার হুমকি চিঠি পাঠাল পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, জইশ-ই-মহম্মদ। অন্তত চিঠির নীচে যে স্বাক্ষর করেছে, সে নিজেকে জইশ সদস্য বলেই দাবি করেছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে ডাকযোগে চিঠিটি পেয়েছেন হনুমানগড়ের স্টেশন মাস্টার বলে জানা গিয়েছে। সন্ধ্যায় তিনি স্থানীয় পুলিশকে বিষয়টি জানান। বুধবার (২ অক্টোবর), হনুমানগড়ের অতিরিক্ত এসপি, পেয়ারেলাল মীনার বলেছেন, “জইশ-ই-মহম্মদের নামে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ অক্টোবর, গঙ্গানগর, হনুমানগড়, যোধপুর, বিকানের, কোটা, বুন্দি, উদয়পুর, জয়পুরের রেলওয়ে স্টেশন এবং অন্যান্য কয়েকটি স্থান বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে।”

জানা গিয়েছে, চিঠিতে জম্মু ও কাশ্মীরে জিহাদিদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ৩০ অক্টোবর জয়পুর, যোধপুর, আলওয়ার, বিকানের, শ্রীগঙ্গানগর, বুন্দি, উদয়পুর এবং জয়পুর রেলওয়ে স্টেশনে বোমা বর্ষণ করা হবে। এছাড়া ২ নভেম্বর, মধ্য প্রদেশের উজ্জয়িন মহাকাল মন্দির-সহ অনেক ধর্মীয় স্থান এবং রেলস্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। চিঠির শেষে বলা হয়েছে, “আমরা রাজস্থান ও মধ্য প্রদেশকে রক্তে রাঙিয়ে দেব। জইশ-ই-মহম্মদ, খুদা হাফিজ।” হুমকি চিঠির নিজে, চিঠির লেখক বলেছে সে জইশ-ই-মহম্মদের জম্মু ও কাশ্মীর এলাকার কমান্ডার, মহম্মদ সেলিম আনসারি।

রেলওয়ের সিপিআরও, ক্যাপ্টেন শশী কিরণ জানিয়েছেন, যে যে রেলস্টেশনে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সবগুলিতেই নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, হুমকি চিঠি পাওয়ার পরই হনুমানগড় স্টেশনে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি টালানো হয়। তবে, কোনও সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন ট্রেন এবং যাত্রীদেরও এলোমেলোভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে কোনও সন্দেহজনক জিনিস পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও জিআরপি পুলিশের পাশাপাশি, সব রেলস্টেশনে নিরাপত্তা বাহিনী, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে।