অপেক্ষার অবসান। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশজুড়ে টিকাকরণ অভিযান। উদ্বোধন করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে উদ্বোধন করা হবে করোনা টিকাকরণের জন্য তৈরি বিশেষ “কো-উইন” অ্যাপ।
আমাদের ওষুধ ও সতর্কতা দুইই মানতে হবে। টিকা পেয়ে গেলে মাস্ক ছুড়ে ফেললে হবে না। যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সকলকে শুভেচ্ছা যারা ঋষির মতো নিজেদের জীবন দিয়েছেন তাদের শুভেচ্ছা। সুস্থ হয়ে উঠুক দেশ।
একটানা এই টিকাকরণ চলবে। প্রত্যেক জীবনকে বাঁচানোর চেষ্টা চলবে। স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বাড়ুক। আরও স্বেচ্ছাসেবক এগিয়ে আসুক।
করোনায় আর মানুষকে হারাতে চাইনা। মায়ের থেকে শিশুকে আলাদা থাকতে হয়েছে । আর এমন হোক চাইনা। ১৫০ টির বেশি দেশে ভারত ওষুধ পাঠিয়েছে। আজ ভ্যাকসিন বানানোতে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে।
কৃষক থেকে দেশের সকল মানুষের বিধি মেনে চলাই করোনার থেকে মুক্তির কারণ। করোনায় মৃত্য়ু কমেছে। সুস্থতার হার বেড়েছে।
আমরা কেবল ভারতে নয়, বন্দে ভারত মিশনের মাধ্যমে ৩৫ লাখ প্রবাসী ভারতীয়কে দেশে নিয়ে আসা হয়। বিদেশেও এখান থেকে টেস্টিং ল্যাব কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাতে প্রবাসীদের অসুবিধা না হয়।
আমি দীর্ঘ সময় দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। মানুষকে জরুরি পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৪/৭ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করেছে দেশ।
এতবড় দেশকে লকডাউন করে দেওয়া সহজ ছিলনা। অর্থ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। রোজকার বন্ধ হয়ে যাবে। তবুও তা করা হয়েছে। এই ভেবেই করা হয়েছে, যাতে করোনা আর ছড়িয়ে না পড়ে।
জনতা কার্ফু ভারতের লকডাউনকেও সহ্য করতে শিখিয়েছে। থালা বাজিয়ে, দ্বীপ জ্বালিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছি।
ভারতের এই বিপুল জনসংখ্য়াকে ভারতের দূর্বলতা বলা হচ্ছিল। কিন্তু তাই আজ ভারতের শক্তি। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
ভারতের ইতিহাসে অনেক বিপদ এসেছে। কিন্তু করোনার মতো এমন সংকট আসেনি। না বিজ্ঞান জানত, না সমাজ। পুরো দুনিয়ার সঙ্গে ভারতকে বিচলিত করেছে করোনা।
আমাদের বাঁচাতে নিজেদের প্রাণ তুচ্ছ করে কাজ করে গিয়েছেন দিনের পর দিন, রাতের পর রাত সেই ডাক্তার, নার্স, প্য়ারামেডিকাল স্টাফ, পুলিস, ও অন্য়ান্য ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার। ঘর থেকে দূরে গিয়ে ঘরে ফিরতে পারেননি অনেকে।
সেইজন্যেই স্বাস্থ্যকর্মীদের আগে টিকা দিয়ে আসলে সমাজ ঋণ মেটাচ্ছে।
যারা আমাদের এই যুদ্ধে ছেড়ে চলে গিয়েছে তারা শ্রদ্ধা টুকুও পায়নি যা তাঁদের প্রাপ্য ছিল। এইসব ভাবলে শিহরিত হয়ে উঠি। নিরাশার ওই বাতাবরণে আশাই ছিল আলো।
আজ রোগ আলাদা হয়েছে। রোগী নয়। প্রথম থেকেই বলা হয়েছিল, রোগের সঙ্গে লড়াই করতে হবে, রোগীর সঙ্গে নয়। সেটাই হয়েছে।
আজ ২৩-এর চেয়ে বেশি ল্যাবে আজ কাজ হচ্ছে। নিঃস্বার্থ ভাব থাকা উচিত। রাষ্ট্র মানে আমাদের লোক।এক ব্যক্তি, এক পরিবার হিসেবে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। আমি ওইদিনগুলো মনে করছি যখন করোনা সংকট শুরু হল। রাস্তা ছিল না। তবু আমরা লড়াই করেছি।
এই দেশের ভ্যাকসিন ভারতের পরিস্থিতি বুঝেই বানানো। আত্মনির্ভর ও আত্মবিশ্বাসী ভারতের উদাহরণ এই করোনা টিকা। দেশবাসী কখনও আত্মবিশ্বাসকে হারায়নি।
ভারতীয় ভ্যাকসিন বিদেশি ভ্যাকসিনের তুলনায় সস্তা ও গুণগত দিক থেকে ভাল। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তে রাখতে হয় বিদেশের অন্য ভ্যাকসিন।
জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ শতাংশ টিকাই ভারতে তৈরি হয়। ভারতের বৈজ্ঞানিকদের উপর গোটা বিশ্বের বিশ্বাস আছে।
আমাদের বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হওয়ার পরেই একমাত্র টিকার জরুরি অনুমোদন করেছেন। তাই এই নিয়ে কোনও প্রোপাগ্যান্ডা তৈরি করবেন না।
ভারত, চিন, আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ। ভারতে টিকাকরণ কতটা জরুরি ও কতটা সাফল্যের তা এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া থেকেই বোঝা যায়।
এ যে কত বড় কাজ তা অকল্পনীয়। ভারত ভ্যাকসিনেশনের প্রথম ধাপেই ৩ কোটি নাগরিককে ভ্যাকসিন দিচ্ছে। এই সংখ্যাটাই এবার ৩০ কোটিতে নিয়ে যেতে হবে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণটিকাকরণ কর্মসূচি এর আগে হয়নি।
রাজ্য সরকারদের সহায়তায় ড্রাই রান করা হয়েছে।
প্রাইভেট ও সরকারী হাসপাতালের সর্বত্র টিকাকরণ হবে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে টিকা।
একটা ডোজ নিয়ে ভুলে গেলে হবে না। দুটি ডোজের মধ্যে এক মাস অন্তর থাকবে। দ্বিতীয় টিকার দুসপ্তাহ পর দেহে করোনার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
কো-উইন অ্যাপের সাহায্যে ট্রাকিং করা হবে।
রামধারী দিনকারীজী বলেছিলেন, “মানুষ যখন জোর লাগায়, পাথরও জল হয়ে যায়।”
সাধারণত একটা ভ্যাকসিন তৈরি করতে কয়েক বছর লেগে যায়। এখানে কয়েক মাসেই দুটি মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে।
আমি সকল দেশবাসীকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বিজ্ঞানী, যারা বিগত কয়েক মাস ধরে ভ্যাকসিন তৈরি কাজে যুক্ত ছিলেন।
অপেক্ষার অবসান। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে দেশজুড়ে টিকাকরণ অভিযান। উদ্বোধন করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে উদ্বোধন করা হবে করোনা টিকাকরণের জন্য তৈরি বিশেষ “কো-উইন” অ্যাপ।