নয়া দিল্লি: পাঁচ দিন আগে পাঞ্জাবে একটি বড় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহেবের সিরহিন্দের মাধোপুরের কাছে দুটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে অন্য ট্রেনের ধাক্কা লাগে ও ট্রেন উল্টে যায়। অম্বালা থেকে জম্মু তাওয়াইগামী যাত্রীবাহী ট্রেন আটকে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের বগিগুলো একে অপরের ওপর দিয়ে চলে যায়। এবার এই ঘটনার রিপোর্ট বেরিয়ে প্রকাশ হয়েছে। কেন এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা জানা গিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মালবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট এবং তাঁর সহকারী দুজনেই ট্রেন চালানোর সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ফলে নির্দিষ্ট জায়গায় থামাতে পারেনি ট্রেন। এই ঘটনার পর সরব হয়েছে লোকো পাইলটদের সংগঠন। রেলের বিরুদ্ধে ট্রেনের চালকদের বেশি কাজ করানো অভিযোগ তুলেছে তারা।
দুর্ঘটনার সময় যাত্রীবাহী ট্রেনে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। যাত্রীরা অল্পের জন্য রক্ষা পান, কারণ জম্মু তাওয়াই ট্রেনটি সিগন্যাল পেয়ে সেই সময় মাত্র ৪৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে অর্থাৎ খুব ধীরগতিতে চলছিল।
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে লোকো রানিংম্যানস অর্গানাইজেশনের (আইআরএলআরও) কার্যনির্বাহী সভাপতি জানান, এই চালকদের রোস্টার চার্ট দেখলে অবাক হতে হব। তারা একটানা কয়েক রাত ডিউটি করছেন, যা রেলের নিয়মের পরিপন্থী বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী রেলের চালকদের ন ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ১১ ঘণ্টা কাজ করানো যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই চালকরা ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টার বেশি কাজ করছেন। আর এই দুর্ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে, এত বেশি ডিউটির কারণে ঠিক কী ঘটছে।