লখনউ: গত বছর ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন মহারাষ্ট্রে বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে ‘ব্রিটিশ শাসকদের ভৃত্য’ বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যার জেরে তাঁর সমালোচনা করেছিল মহাবিকাশ আগাড়ি জোটে কংগ্রেসের শরিক দল শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)। এবার তাঁর ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধীকে নোটিশ পাঠাল লখনউয়ের দায়রা আদালত। সাভারকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, নৃপেন্দ্র পান্ডে নামে এক আইনজীবী রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সমাজে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ করে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এক ফৌজদারি মামলা করেছিলেন। সেই মামলাটি অবশ্য চলতি বছরের জুনে খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। সেই আদেশকে ফের চ্যালেঞ্জ করেছেন ওই আইনজীবী। ওই ফৌজদারি মামলার পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতেই রাহুল গান্ধীকে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন লখনউয়ের জেলা ও দায়রা বিচারক অশ্বিনী কুমার ত্রিপাঠী।
এর আগে সাভারকার সম্পর্কে ওই মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধনের দাবি জানিয়ে মামলা করেছিলেন ওই আইনজীবী। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, সমাজে ঘৃণা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে জাতীয়তাবাদী নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে ব্রিটিশদের সেবক বলেছেন এবং তিনি ব্রিটিশদের কাছ থেকে পেনশন নিতেন বলে মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী। সাভারকরকে তিনি দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের এক নির্ভীক স্বাধীনতা সংগ্রামী বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি আরও দাবি করেন, ভারত মাতাকে ব্রিটিশদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে সাভারকর অমানবিক অত্যাচার সহ্য করেছিলেন। রাহুল গান্ধী অশালীন শব্দ ব্যবহার করে সাভারকরকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সাভারকরকে মহাত্মা গান্ধীও দেশপ্রেমিক বলে মনে করতেন। রাহুল গান্ধী তাঁর অশালীন মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় প্রচার করে বিদ্বেষ সৃষ্টি করছেন। এর জন্য আবেদনকারীকে মানসিক কষ্ট পেতে হয়েছে।
তবে, ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযোগটি এবং অভিযোগকারী ও তাঁর সাক্ষীদের পরীক্ষা করে চলতি বছরের ১৪ জুন আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছিল। এরপরই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়রা আদালতে গিয়েছলেন আবেদনকারী। এরপরই এদিনের নোটিশ পাঠাল দায়রা আদালত। নোটিশে বলা হয়েছে, এই মামলার সঙ্গে আইন এবং বাস্তবতার প্রশ্ন জড়িত আছে বলেই মামলাটি পুনর্বিবেচনার করতে দায়বদ্ধ আদালত। মামলাটি লখনউয়ের এমপি-এমএলএ আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১ নভেম্বর।