নয়া দিল্লি: মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটের জল এবার সুপ্রিম কোর্ট অবধি সুপ্রিম কোর্ট অবধি গড়াল। বেশ কয়েকদিন ধরে টালমাটাল পরিস্থিতিতে রয়েছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকার। রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে সিংহভাগ শিবসেনা বিধায়ক হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। এবার বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধায়ক-পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছ। মধ্যপ্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের নেত্রী জয়া ঠাকুর এই মামলা দায়ের করেছেন। কংগ্রেস নেত্রীর দায়ের করা মামলায় দল বিদ্রোহী বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করার আবেদন জানানো হয়েছে বলে খবর। বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে। বিদ্রোহী নেতাদের বিধায়ক পদ খারিজের পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে তাদের ওপর যেন নির্দেশিকা জারি করা হয়, সেই আবেদনও করেছেন কংগ্রেস নেত্রী। মহারাষ্ট্রে যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্র সরকার বেশ কয়েকদিন দিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে উড়ে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। সেখানে থেকে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে অসমে চলে গিয়েছিলেন একনাথ। অসমের যে বিলাসবহুল হোটেলে একনাথ শিন্ডেদের থাকা বন্দোবস্ত করা হয়েছিল, সেখানেই দেখা গিয়েছিল অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকেও। প্রথম থেকেই মনে করা হচ্ছিল, একনাথদের এই বিদ্রোহের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। এমনকী খোদ একনাথও বলেছিলেন, ‘পাকিস্তানকে হারানো দল আমাদের পাশে রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, একনাথ জানিয়েছেন তার সঙ্গে মোট ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে এবং এর মধ্যে ৩৭ বিধায়কই শিবসেনার। হঠাৎ করে এই বিদ্রোহের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন ‘বর্ষা’ ত্যাগ করে ‘মাতশ্রী’তে ফিরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী শক্তি প্রদর্শন করতে অসম থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন একনাথ। এখন আগামী দিনে মহারাষ্ট্রের গদি কার হাতে থাকে, সেটাই এখন দেখার।