ভোপাল: পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেছিলেন মধ্য প্রদেশের এক কৃষক। বয়স ৬০ বছর। গত কয়েকদিন ধরেই পেটে ব্যথা করছিল তাঁর। অবশেষে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন তিনি। চিকিৎসা করতে গিয়ে তাঁরা তো হতবাক। শেষ পর্যন্ত ওই কৃষকের মলদ্বার থেকে একটি ১৬ ইঞ্চি দীর্ঘ লাউ বের করেছেন তাঁরা। তাতেই শেষ পর্যন্ত স্বস্তি পেয়েছেন প্রৌঢ় কৃষক। ইউরোপ-আমেরিকায়, মলদ্বার থেকে অনেক ‘ফরেন অবজেক্ট’ বের করার খবর পাওয়া যায়। ভারতে এই ধরনের ঘটনা বিরল বললেই চলে। তার উপর মলদ্বার থেকে লাউ বের হওয়া তো বিরলতম ঘটনা বলা যেতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের কাছে আসার পর কৃষকের শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। শেষে এক্স-রে করে তাঁর অস্বস্তির কারণ জানতে পারেন চিকিৎসকরা। দেখা যায়, একটি বড়-সড় লম্বাটেআকারের লাউ তাঁর মলদ্বারে আটকে আছে। চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছিলেন। এরপর, ডা. মনোজ চৌধুরী, ডা. নন্দকিশোর জাটভ, ডা. আশিস শুক্লা এবং ডা. সঞ্জয় মৌর্যের তত্ত্বাবধানে দুই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার কর হয়। অস্ত্রোপচারটি বেশ জটিল ছিল বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
তাঁদের দুই ঘণ্টার প্রয়াস সফল হয়। লাউটি ওই কৃষকের মলদ্বার থেকে নিরাপদে বের করে আনা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগী এখন সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। শিগগিরই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে। তবে, এখনও একটা প্রশ্নের জবাব পাননি চিকিৎসকরা। প্রৌঢ় কৃষকের মলদ্বারে ১৬ ইঞ্চি দীর্ঘ লাউটি গেল কীভাবে?
এখনও পর্যন্ত কীভাবে এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল, তা অস্পষ্টই থেকে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কৃষকটি এর কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। চিকিৎসকরা মনে করছেন, হয়তো কৃষক বিষয়টি জানাতে লজ্জা পাচ্ছেন। ডা. মনোজ চৌধুরীর অনুমান, মানসিক অসুস্থতা থেকে ওই কৃষক নিজেই লাউটি তাঁর মলদ্বারে ঢুকিয়ে থাকতে পারেন। যৌন কৌতূহল থেকেও তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন। এছাড়া, টেস্টিকুলার ডিসঅর্ডার বা কোনও দুর্ঘটনা থেকেও এটা হয়ে থাকতে পারে। কীভাবে সাধের লাউ মলদ্বারে আটকে গেল, এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য বের করার জন্য মধ্য প্রদেশের ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আগেই বলা হয়েছে, এই ধরনের ফরেন অবজেক্ট বের করা বিদেশের ক্ষেত্রে খুব একটা নতুন ঘটনা নয়। বস্তুত, গত মার্চ মাসেই ভিয়েতনামে প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। এক ৩৪ বছর যুবক পেটের ব্যথায় কাতর ছিলেন। তাঁর অত্যন্ত খিঁচুনিও হচ্ছিল। পরে চিকিৎসকরা দেখেছিলেন, তাঁর পেটে একটি জীবন্ত ইল মাছ রয়েছে। সেটি ওই ব্যক্তির মলদ্বার দিয়ে প্রবেশ করে অগ্নাশয় পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে নিরাপদে মাছটিকে বের করেছিলেন।