MP Murder Case: কম্বল তুলে দেখালেন প্রেমিকার গলা কাটা দেহ, বললেন ‘বাবু হেভেন মে মিলেঙ্গে’

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 16, 2022 | 11:41 AM

Crime News: একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, পটনার ব্যবসায়ী অভিজিৎ জানান জিতেন্দ্র কুমার তাঁর বিজনেস পার্টনার। মৃতা শিল্পার সঙ্গে দুই ব্য়ক্তিরই সম্পর্ক ছিল বলে জানান তিনি। তৃতীয় পোস্টে অভিজিৎ বলেন, "বাবু, হেভেন মে ফির মিলেঙ্গে।" 

MP Murder Case: কম্বল তুলে দেখালেন প্রেমিকার গলা কাটা দেহ, বললেন বাবু হেভেন মে মিলেঙ্গে
অভিযুক্ত অভিজিৎ পাতিদার।

Follow Us

ভোপাল: লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব, দিল্লির এই নৃশংস খুনের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। ওই খুনের ঘটনায় এখনও একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। এরইমাঝে আরও এক নৃংশস খুনের ঘটনা ঘটল। এক ব্যক্তি খুন করলেন তাঁর প্রেমিকাকে। খুনের পর গলা কাটা দেহের সঙ্গে ভিডিয়োও রেকর্ড করেন তিনি, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি বলেন, “বিশ্বাসঘাতকতা করো না”। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের জবলপুরে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর খুনের ঘটনাটি ঘটে। শিল্পা ঝারিয়া (২৫)-কে গলা কেটে খুন করেন তাঁর প্রেমিক অভিজিৎ পাতিদার। রক্ত মাখা ওই দেহটি জবলপুরের মেখলা রিসর্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ একটি ভিডিয়ো খুঁজে পায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। সেখানে দেখা যায়, অভিজিৎ বলছে, “বেওয়াফা নেহি করনে কা। (বিশ্বাসঘাতকতা করো না)”। এরপরই সে কম্বল তুলে ধরে, দেখা যায় বিছানায় রক্তমাখা একটি দেহ পড়ে রয়েছে, তাঁর গলা কাটা।

আরও একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা যায়, পটনার ব্যবসায়ী অভিজিৎ জানান জিতেন্দ্র কুমার তাঁর বিজনেস পার্টনার। মৃতা শিল্পার সঙ্গে দুই ব্য়ক্তিরই সম্পর্ক ছিল বলে জানান তিনি। অভিজিৎ  জানান, তিনি জিতেন্দ্র থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন এবং জবলপুরে পালিয়ে যান। জিতেন্দ্রর নির্দেশেই তিনি শিল্পাকে খুন করেন।  তৃতীয় পোস্টে অভিজিৎ বলেন, “বাবু, হেভেন মে ফির মিলেঙ্গে।”

খুনে অভিযুক্ত অভিজিৎ জিতেন্দ্রর এক সঙ্গী সুমিত পটেলের নামও উল্লেখ করেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ জিতেন্দ্র ও সুমিতকে বিহার ও জবলপুর থেকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তাদের জেরা করা হচ্ছে। পুলিশের স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট প্রিয়ঙ্কা শুক্লা জানান, এক মাস ধরে অভিজিৎ পটনায় জিতেন্দ্রর বাড়িতেই থাকছিল। বাকি দুইজনকে গ্রেফতার করা হলেও, মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পলাতক। তাঁকে খোঁজার জন্য মধ্য প্রদেশ. মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে পুলিশের দল পাঠানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গত ৬ নভেম্বর জবলপুরের মেখলা রিসর্টে একটি রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সেই রাতে অভিজিৎ একাই ছিলেন হোটেল রুমে। পরের দিন দুপুরে এক মহিলা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন, দুইজনের জন্য খাবারও অর্ডার করা হয়। এর এক ঘণ্টা পরই অভিযুক্ত হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। রুমের দরজা লক ছিল। ৮ নভেম্বর হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই রুমের দরজা ভাঙলে ভিতর থেকে ওই মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।

Next Article