চেন্নাই: তামিলনাড়ুতে বেড়েই চলেছে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। চেন্নাইয়েও সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে রোজ প্রায় সাড়ে চার হাজার জন আক্রান্ত হচ্ছেন চোখের এই সংক্রমণে। চেন্নাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা রোজ ১০০ ছাড়াচ্ছে। এক মাস ধরে লাগাতার বৃষ্টির জন্যই এই সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে সে রাজ্যের সরকার। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এম সু্ব্রহ্মমনিয়ান তামিলনাড়ু বাসীকে অনুরোধ করেছেন, কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হলে আইসোলেশনে থাকতে। এর পাশাপাশি নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসককে দেখানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, “বর্ষা শুরু হতেই এই সমস্যা শুরু হয়েছিল। তামিলনাড়ুতে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের চিকিৎসা হয়েছে কনজাংটিভাইটিসে আক্রান্ত হওয়ায়। চেন্নাইয়ের রোজ ৮০ থেকে ১০০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। সালেম এবং ধর্মপুরী জেলায় এই সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি।” সেখানকার এক সিনিয়র চক্ষু বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, কনজাংটিভাইটিসের ৯০ শতাংশ হচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাসের জন্য। শ্রীনিবাসন জি রাও নামের ওই চক্ষু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “এ বছর দীর্ঘয়িত বর্ষার জেরে সংক্রমণ বেড়েছে। ৯০ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের কারণে। এর মধ্যে চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে। চোখে চুলকানি এবং জ্বলন হচ্ছে। চোখ দিয়ে নাগাড়ে জল পড়ছে। ছোটদের মধ্য খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।”
কংজাংটিভাইটিস কী?
চোখের মধ্যে কনজাংটিভ নামের স্বচ্ছ পর্দা থাকে। সেই পর্দাতে প্রদাহ হলে তাকে বলে কনজাংটিভাইটিস।
কেন হয়?
মূলত ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের জেরে কনজাংটিভাইটিস হয়। এ ছাড়াও বেশ কিছু কারণে হতে পারে এই সমস্যা। যেমন শ্যাম্পুর রাসায়নিক, ধোঁয়া, ধুলোর কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। ফাঙ্গাল সংক্রমণের জেরেও এই রোগ হয়।
কনজাংটিভাইটিস থেকে কী ভাবে বাঁচাবেন চোখ?