চেন্নাই: সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের (Madras High Court) নির্দেশে ধাক্কা খেলেন এআইএডিএমকে নেতা (AIADMK) ও পনিরসেলভম ওরফে ওপিএস। বেশ কয়েকদিন ধরে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জয়ললিতার দলের নেতৃত্বের রাশ নিয়ে ও পনিরসেলভম এবং ই পালানিস্বামীর মধ্যে দ্বৈরথ চলছিল। সোমবার মাদ্রাজ আদালত দলীয় কো-অর্ডিনেটর পালানিস্বামীকে দলের ভবিষ্যত নেতৃত্ব ঠিক করার জন্য জেনারেল কাউন্সিল মিটিং করার অনুমতি দিয়েছে। মিটিং স্থগিত করতে চেয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পনিরসেলভম। সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত সুপ্রিম কোর্টের রায় বহাল রেখেছ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এর আগে সুুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল এআইডিএমকে বৈঠকে ডাকতে কোনও সমস্যা নেই, নিয়ম মেনেই বৈঠক ডাকা হচ্ছে। আজকের নির্দেশে পনিরসেলভমের আবেদন খারিজ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। ই পালানিস্বামী এই বৈঠকে ডেকেছিলেন। এই বৈঠকে ২ হাজার ৫০০ জনের বেশি দলীয় সদস্য যাঁরা পালানিস্বামীকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করতে পারেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠকে হলেই বর্তমানে চালু থাকা দ্বৈত নেতৃত্বের মডেলের নীতিরও অবলুপ্তি হবে।
আদালত সকাল ৯ টার সময় এই নির্দেশে দিয়েছে। সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান এ তামিল মাহান হুসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকটি শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগেই পনিরসেলভম শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে এক কো-অর্ডিনেটর এবং যুগ্ম কো-অর্ডিনেটরই এই বৈঠক ডাকতে পারেন। ওপিএস শিবিরের দাবি ছিল, প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যানের ডাকা বৈঠক বেআইনি। পালানিস্বামী শিবির জানিয়েছিল, এআইএডিএমকতে দ্বৈত নেতৃত্বে আর বলবৎ নেই কারণ ২৩ জুনের দলীয় বৈঠকে দ্বৈত নেতৃত্বকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। পালানিস্বামী শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ২০১৭ সালেও একই পদ্ধতি মেনে পনিরসেলভমকে দলের শীর্ষনেতা নির্বাচন করা হয়েছিল।
গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পালানিস্বামী শিবির আইন মেনেই বৈঠক ডেকেছিল। পালানিস্বামী একক নেতৃত্বে বিশ্বাসী অন্যদিকে পনিরসেলভম শিবির দ্বৈত নেতৃত্বে বিশ্বাসী ছিল। এদিনের বৈঠকে দলীয় পোস্টারে পনিরসেলভমের কোনও ছবি ছিল না। দলীয় পোস্টারে এমজিআর, পালানিস্বামী এবং জয়ললিতার পোস্টার চোখে পড়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের আগেই দু’দল সমর্থককে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে একে ওপরে দিতে পাথর ছুড়তে দেখা গিয়েছিল। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে থাকা গাড়িগুলিও ভাঙচুর করা হয়েছে।