AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madras High Court: পতিতালয় চালাবেন, চাই সুরক্ষা! আইনজীবীর আবদারে হতবাক বিচারপতি

Madras High Court: পতিতালয় চালানোর দায়ে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। সেই এফআইআরটি বাতিল করার জন্য়ই আবেদন করেছিলেন তিনি। আইনজীবীর এহেন আবদারে স্বাভাবিকভাবেই স্তম্ভিত মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বিচারপতি বি পুগালেন্দি বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন, শুধুমাত্র 'স্বনামধন্য' আইন কলেজ থেকে পাশ করা আইনজীবীদেরই যেন অ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

Madras High Court: পতিতালয় চালাবেন, চাই সুরক্ষা! আইনজীবীর আবদারে হতবাক বিচারপতি
মাদ্রাজ হাইকোর্টImage Credit: Twitter
| Updated on: Jul 26, 2024 | 8:01 AM
Share

চেন্নাই: তিনি পতিতালয় চালাবেন। তার জন্য আদালতের সুরক্ষা চাইলেন এক আইনজীবী। আইনজীবীর এহেন আবদারে স্বাভাবিকভাবেই স্তম্ভিত মাদ্রাজ হাইকোর্ট। পতিতালয় চালানোর দায়ে ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। সেই এফআইআরটি বাতিল করার জন্য়ই আবেদন করেছিলেন তিনি। প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতিমূলক যৌনতার অধিকার আছে। তাই তিনি কোনও অপরাধ করেননি বলে দাবি করেন ওই আইনজীবী। কিন্তু, তাঁর এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, বিচারপতি বি পুগালেন্দির বেঞ্চ ওই আইনজীবীর প্রতি তীব্র অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন, শুধুমাত্র ‘স্বনামধন্য’ আইন কলেজ থেকে পাশ করা আইনজীবীদেরই যেন অ্যাডভোকেট হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়, এটা নিশ্চিত করতে হবে।

অভিযুক্ত আইনজীবীর নাম অ্যাডভোকেট রাজা মুরুগান। তাঁর বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার একটি পতিতালয় চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি জেলার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছিল। ওই এফআইআর বাতিল করা এবং তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে পুলিশের হস্তক্ষেপ প্রতিরোধের জন্য দুটি আবেদন করেছিলেন তিনি। আদালতে মুরুগান দাবি করেন, তিনি পতিতালয় চালান না। ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের জন্য তিনি সম্মতিমূলক যৌনতার ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়া তাদের কাউন্সেলিং এবং থেরাপিউটিক তেল স্নানের মতো পরিষেবাও দেন। সুপ্রিম কোর্টের ‘বুধদেব মামলা’র উল্লেখও করেন তিনি।

তাঁর আবেদনের জবাবে, হাইকোর্ট জানিয়েছে, বুধদেব মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তার প্রেক্ষাপট বুঝতে ভুল করেছেন মুরুগান। বুধদেব পাচার রোধ করেছিলেন এবং যৌনকর্মীদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু মুরুগান, দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে নাবালিকা মেয়েদের শোষণ করেছেন। কাজেই দুই মামলার মধ্যে তুলনাই হয় না। মুরুগানের আবেদনে যারপরনাই বিরক্ত হন বিচারপতি বি পুগালেন্দি। এমনকি, মুরুগানের বার অ্যাসোসিয়েশনে তালিকাভুক্তির শংসাপত্র এবং আইন ডিগ্রিও দেখতে চান।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাঁকে জানান, মুরুগান একজন বি-টেক স্নাতক এবং একটি তাঁর কাছে বার কাউন্সিলের পরিচয়পত্রও রয়েছে৷ তবে,তবে তিনি সত্যিই আইন পড়েছেন কিনা, তা যাচাই করার উপায় নেই। এরপরই বিচারপরি বি পুগালেন্দি বলেন, “বার কাউন্সিলকে বুঝতে হবে যে সমাজে আইনজীবীদের সুনাম কমছে। অন্ধ্র প্রদেশ, কনাণাটক এবং অন্যান্য রাজ্যের অখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে আইনজীবীরা বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত হচ্ছেন। সদস্যদের শুধুমাত্র স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নথিভুক্ত করাটা কাউন্সিলকে নিশ্চিত করতে হবে।”