প্রয়াগরাজ: ১৪৪ বছর পর প্রথমবার, প্রয়াগরাজে হচ্ছে মহাকুম্ভ। দেশ-বিদেশ থেকে কোটি কোটি পূণ্যার্থী এসেছেন। মকর সংক্রান্তির দিনই প্রায় সাড়ে তিন কোটি পূণ্যার্থী পূণ্যস্নান সেরেছেন। তবে কুম্ভ কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত মহাকুম্ভ চলবে। এর মধ্য আজ, ১৭ জানুয়ারি বিশেষ এক ঘটনা হতে চলেছে কুম্ভমেলায়।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। কীসের নিয়োগ? নাগা সাধু হওয়ার। মৌনী অমাবস্যার আগে, সাতটি শৈব এবং উদাসীন আখড়া, তারা নতুন নাগা সাধুদের নিয়োগ করবে। আজ থেকেই জুনা আখড়ায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর জন্য নাগা সাধুদের ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব দিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে।
জানা গিয়েছে, ১৮০০-রও বেশি সাধুকে নাগা সাধু বানানো হবে। মহানির্বাণী, নিরঞ্জনী, অটল, অগ্নি, আবাহন সহ উদাসীন আখড়ায় নাগা সাধু নিয়োগ করা হবে। আচার-অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর, নতুন দীক্ষিত সকলেই নাগা সন্ন্যাসী হিসাবে নিয়োগ করা হবে। তার প্রক্রিয়াই শুরু হবে আজ।
আজ, ১৭ জানুয়ারি থেকে সাধুদের নাগা সাধুতে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মৌনি অমবস্যায় সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে। জুনা আখড়ার মহন্ত রমেশ গিরি জানিয়েছেন, প্রথমে সাধুরা আখড়ার ধর্মীয় পতাকার নীচে তপস্যা শুরু করবেন। ২৪ ঘণ্টা এই তপস্যা করতে হবে। এই সময় অন্ন বা জল গ্রহণ করা যাবে না। এরপর গঙ্গায় ১০৮ বার ডুব দিয়ে অমৃতস্নান করবেন।
গঙ্গায় ১০৮ বার ডুব দেওয়ার পরে, ক্ষৌর কর্ম এবং বিজয় হবন করা হবে। এখানে পাঁচজন গুরু তাদের বিভিন্ন জিনিস দেবেন। আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর সন্ন্যাসে দীক্ষা দেবেন। এরপর ফের হবন বা যজ্ঞ হবে। ১৯ জানুয়ারির সকালে কটিবস্ত্র খুলে নাগায় রূপান্তরিত হবেন।
নাগা সন্ন্যাসীদের পোশাক পরে বা দিগম্বর আকারে বসবাসের বিকল্পও দেওয়া হয়। যারা বস্ত্র নিয়ে থাকেন, তারা অমৃতস্নানের সময় শুধুমাত্র নাগা রূপে স্নান করবেন।