প্রয়াগরাজ: হিন্দিবলয়ের ত্রিবেণী মহাসঙ্গমে এখন উৎসবের আমেজ। নতুন বছর শুরু হয়েছে মহাকুম্ভের ত্র্যর্হস্পর্শে। ভিড় জমিয়েছেন পুণ্যার্থীরা। ডুব দিয়ে ‘পাপ ধুতে’ মরিয়া সাধারণ মানুষ। কিন্তু জানেন কি মহাকুম্ভের প্রথম দিনে মহাসঙ্গমে পুণ্যস্নান করলেন কত জন?
কথায় বলে, নানা মুনির, নানা মত। কুম্ভ মেলার নেপথ্য থাকা কারণের ক্ষেত্রেও এই একই প্রবাদ প্রযোজ্য। তবে সর্বোচ্চ গৃহিত গল্প কথা অনুযায়ী, অমৃতের পাত্র নিয়ে দেবতা ও অসুরদের মধ্যে চলা যুদ্ধ থেকেই এই কুম্ভ মেলার সৃষ্টি। বলা হয়, যুদ্ধের কারণে যে চার জায়গায় অমৃতের ছিটেফোঁটা পড়েছিল, সেই সব জায়গাতেই কুম্ভ মেলার আয়োজন হয়ে থাকে।
তবে সব কুম্ভ মেলাই এক রকম নয়। কেউ আসে ৪ বছরে, কেউ আবার আসে ৬ বছরে, কেউ আবার আসে ১২ বছরে। আর এক কুম্ভ আসে ১৪৪ বছরে। হিন্দু রীতি অনুযায়ী, ৪ বছরে হয় কুম্ভ, ৬ বছরে হয় অর্ধকুম্ভ ও ১২ বছরে হয় পূর্ণ কুম্ভ। আর ১৪৪ বছর পর আসে মহাকুম্ভ।
মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানের হিড়িক
কথায় বলে বহু মানুষই তাদের জীবদ্দশায় এই মহাকুম্ভের সাক্ষী হন না। ১৪৪ বছর অন্তর আসার কারণে অন্যন্য কুম্ভ মেলার তুলনায় এর গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। ফলত, মহাকুম্ভের মহাসঙ্গমে পুন্যস্নান করতে প্রয়াগরাজে ভিড় জমিয়েছে বহু পুণ্যার্থী।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমার জানান, মহাকুম্ভের প্রথম দিনেই পুণ্যস্নান করেছেন এক কোটি পুণ্যার্থীরা। এর আগে এই পরিমাণ ভিড় এর আগের কোনও কুম্ভেই দেখা যায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।