লখনউ: না জানিয়ে ছেলের প্রিয় বাইকটা বিক্রি করে দিয়েছিলেন মা ও দাদা। ফলাফলও একটা মনে মনে আন্দাজ করে নিয়েছিলেন বটে। ভেবেছিলেন, একটু চিৎকার করবে, খাওয়া বন্ধ করে দেবে। খুব বেশি হলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি-হুঁশিয়ারি দেবে। কিন্তু ছেলে যে আত্মঘাতী হয়ে উঠবে তা টের পাননি খোদ মৃতের মা।
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের মীরাটের। গুলিবিদ্ধ হয়ে আত্মহত্যা করলেন বছর সতেরোর এক নাবালক। না জানিয়েই তার প্রিয় বাইক বিক্রি করে দেওয়ার ক্ষোভে আত্মঘাতী হয় সেই যুবক, এমনটাই দাবি পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ‘মৃত্যুর পর কী হয়?’, আত্মহত্যার আগে গুগলে গিয়ে এমনটাই সার্চ করেছিলেন সেই নাবালক। গত সপ্তাহের শনিবার মীরাট মেডিক্যাল কলেজ থেকে মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মৃতের দাদা। বাড়ি ফিরে নাবালকের ঘর ভিতর থেকে বন্ধ দেখে ক্রমাগত দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন উভয়েই। এরপরই এক বিকট শব্দ। ঠাওর করলে শব্দটা বন্দুকের এবং এসেছে ওই বন্ধ ঘর থেকেই। এক মুহূর্তের জন্য থমকে যান মৃতের মা ও দাদা। ঘরের সঙ্গে লাগোয়া জানলায় উঁকি মারতেই দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে সেই নাবালক।
মৃতের মা মীরাট মেডিক্যাল কলেজের নার্স। বাবা গত হয়েছেন এক বছর। দাদা, সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা করছেন।
বরাবরই পড়াশোনায় মন ছিল না মৃত নাবালকের। বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ানো ও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, এই ছিল তার গোটা দিনের কাজ। আর সেই সঙ্গে দোসর হয়েছিল কিনে দেওয়া বাইকটা। এমন পরিস্থিতিতে নাবালককে নৈতিক শিক্ষা দিতেই তাকে না জানিয়ে তার বাইকটি বিক্রি করে দেয় তারা। কিন্তু তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে তা আগাম কোনও ভাবেই বুঝতে পারেননি মৃতের মা ও দাদা।