মুম্বই : মহারাষ্ট্রের রায়গড় উপকূল থেকে এদিন অস্ত্রবোঝাই একটি নৌকো বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। হরিহরেশ্বর ঘাটের কাছে নৌকোটিকে সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে আসতে দেখা যায়। সেই নৌকো থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি AK-47, কার্তুজ ও বিস্ফোরক পদার্থ। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুম্বই জুড়ে। ২৬/১১-র মতো পুনরায় কোনও নাশকতার পরিকল্পনা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নাশকতার ছকের পরিকল্পনা উড়িয়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ।
তিনি এদিন জানিয়েছেন, ‘জেলেরা একটি ১৬ মিটারের পরিত্যক্ত নৌকো খুঁজে পেয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ সেই নৌকোর তল্লাশি চালিয়েছে। সেখান থেকে তিনটি AK-47 রাইফেল ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।’ ফড়ণবীশ আরও বলেছেন, ‘সেই নৌকোটি একজন অস্ট্রেলিয়ার মহিলার। মাস্কাট থেকে ইউরোপে যাচ্ছিল। তবে মাঝ সমুদ্রেই কিছু গোলযোগ হয় এবং স্রোতের কারণে উপকূলের দিকে চলে এসেছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘কেন্দ্রীয় সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং এটিএস-ও কাজ করছে এর উপর। প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন করা হবে।’ তিনি স্পষ্টতই জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও দিকই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমি কেবলমাত্র প্রাথমিক তথ্য় জানাচ্ছি যাতে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি না হয়।’ তবে সেই নৌকো কীভাবে এবং অস্ত্র এল সেই সম্পর্কেও কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘নৌকোয় কেন অস্ত্র ছিল সেই সম্পর্কে এখনি বলা যাচ্ছে না। এই বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থীর আগে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেই এই অস্ত্র উদ্ধারকে ঘিরে উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রশাসন। পুনরায় কোনও নাশকতার ছক উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না প্রাথমিকভাবে। কারণ ২৬/১১-র মুম্বই হামলার সময়ও এইভাবেই মুম্বইয়ে অস্ত্র এসে পৌঁছেছিল। তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। মুম্বই উপকূলে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্য়বস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে সেই অঞ্চলে। আপাতত সদা সজাগ রয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনার তদন্তও জারি রয়েছে।