মুম্বই: দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনা সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করে ৩৫ টুকরো করেছিল প্রেমিক আফতাব। এখনও রেশ কাটেনি সেই ঘটনার। পুলিশ এখনও খুঁজে বেরাচ্ছে শ্রদ্ধা ওয়াকারের কাটা মুণ্ড। অন্যদিকে পলিগ্রাফ, নারকো-অ্যানালাইসিস পরীক্ষা করানো হচ্ছে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার। এরইমাঝে ফের দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের মতোই ঘটনা ঘটল মহারাষ্ট্রে। এক ব্যক্তি তাঁর লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করার হুমকি দিলেন। শ্রদ্ধার যেমন পরিণতি হয়েছিল, তার থেকেও বীভৎস পরিণতি করবেন, এমনটাই হুমকি দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার এক মহিলা পুলিশে অভিযোগ জানান যে তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আরশাদ সালিম মালিক হুমকি দিয়েছেন যদি সে কথা না শোনে, তাহলে তার পরিণতিও শ্রদ্ধার মতো হবে। শ্রদ্ধাকে যেমন ৩৫ টুকরো করেছিল আফতাব, সেইভাবেই তাঁকে ৭০ টুকরো করবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ নভেম্বর এক যুবতী থানায় তাঁর লিভ-ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর প্রেমিক তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে হেনস্থা করছে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও আনেন। সম্প্রতিই বচসা হওয়ায়, তাঁর প্রেমিক হুমকি দেয় যে কথার অবাধ্য হলে, তাঁর পরিণতি শ্রদ্ধার মতো হবে। তাঁকে কেটে ৭০ টুকরো করবে।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে আরশাদের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন ওই যুবতী। তিনি আগে বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু ২০১৯ সালে একটি পথ দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামী মারা যান। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। এরপরে হর্ষল মালি নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়। ওই ব্যক্তি তাঁকে ধুলের লালিং গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে এবং গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে রেখে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে।
পরে দুইজনে মিলে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে যখন তারা হলফনামা তৈরি করেন, তখন যুবতী জানতে পারেন ওই ব্যক্তির নাম হর্ষল মালি নয়, আরশাদ সালিম মালিক। তারা ওসমানাবাদে বসবাস করতে শুরু করেন। ওই ব্যক্তিই জোরাজুরি করে ওই যুবতীকে ধর্মান্তরিত করায় বলেও অভিযোগ করেন ওই যুবতী। অভিযুক্ত আরশাদ মালিকের বাবাও তাঁকে হেনস্থা করত।
গত চার মাস আগেই তাদের একটি সন্তান হয়। কিন্তু তারপরও অত্যাচার থামেনি। পুলিশের তরফেও জানানো হয়েছে, অভিযোগকারীণীর শরীরে একাধিক পোড়া দাগ রয়েছে। সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়াকারের মতো খুনের হুমকি দেওয়াতেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।