মুম্বই: নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে। সেই যুদ্ধে জিতেও গিয়েছেন বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। প্রাপ্তি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পদের। বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন একনাথ শিন্ডে। নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে খুশি তিনি। নিজের সেই খুশি জাহির করেই শুক্রবার তিনি বলেন, “শুধু আমার সতীর্থরা নয়, গোটা মহারাষ্ট্র খুশি যে বালা সাহেব ঠাকরের শিব সৈনিক মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে।”
৪০ জনেরও বেশি বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি জানিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সমর্থন নিয়েই বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতৃত্বরা উপস্থিত থাকতে পারলেও, ছিলেন না একজনও বিক্ষুব্ধ বিধায়ক, যাদের সমর্থন পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী হলেন শিন্ডে। সেই কারণেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই তিনি মধ্যরাতে বিমানে করে গোয়ায় যান সেখানে ‘বন্দি’ থাকা বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে।
মধ্য়রাতে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার সহকর্মী ও গোটা মহারাষ্ট্র খুশি যে বালা সাহেব ঠাকরের শিব সৈনিক আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে”। মহারাষ্ট্র্রের মানুষদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই সরকার মহারাষ্ট্রের মানুষদের জন্যই কাজ করবে। সমাজের প্রতিটা স্তরে সুবিচার করা হবে। একইসঙ্গে আমরা বালা সাহেব ঠাকরের মতাদর্শকেও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
কে কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব পাবেন, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, হোটেলে গিয়ে বাকি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “মন্ত্রী তো ছিলামই। নতুন করে কোনও মন্ত্রিত্ব পাওয়ার লোভে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গত্যাগ করিনি। কংগ্রেস-এনসিপি-র সঙ্গে মতাদর্শগত পার্থক্যের জন্যই মহা বিকাশ আগাড়ি জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।”
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তিনি নিজে মহারাষ্ট্রের নতুন মন্ত্রিসভায় থাকতে না চাইলেও, ফড়ণবীসের সেই ইচ্ছেকে আমল দেয়নি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। শিন্ডে-ফড়নবীশের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি কোনও দায়িত্ব নিতে না চাইলেও, আলাদা করে ফড়ণবীসের উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা করেন জেপি নাড্ডা।