Mahrashtra Political Crisis: শাহি সাক্ষাতের সম্ভাবনা, দিল্লির পথে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস! শীঘ্রই কি মহা-নাটকের যবনিকা পতন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Jun 28, 2022 | 12:50 PM

Maharashtra Crisis: শেষবার মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে ফড়ণবীস যখন দিল্লি এসেছিলেন, তখন বিজেপি নেতৃত্বের তরফে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছিল।

Mahrashtra Political Crisis: শাহি সাক্ষাতের সম্ভাবনা, দিল্লির পথে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস! শীঘ্রই কি মহা-নাটকের যবনিকা পতন?
ছবি: সংবাদ সংস্থা

Follow Us

নয়া দিল্লি: বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্যের অন্যতম শাসকদল শিবসেনার (Shiv Sena) অন্তর্দলীয় টানাপোড়েন নিয়ে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। হঠাৎ করেই শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির জোটবদ্ধ মহারাষ্ট্র সরকারের (Maharashtra Crisis) সংকট বাড়িয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। সিংহভাগ সেনা বিধায়কসহ বেশ কিছু নির্দল বিধানসভার সদস্যও হঠাৎ করেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। ৭ দিনের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দিল্লি উড়ে যাচ্ছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস (Devendra Fadnavis)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন ফড়ণবীস। মহারাষ্ট্রে বাড়তে থাকা রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার দেবেন্দ্রর দিল্লির সফর নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন ফড়ণবীস এবং সেখানে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

শেষবার মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে ফড়ণবীস যখন দিল্লি এসেছিলেন, তখন বিজেপি নেতৃত্বের তরফে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছিল। মধ্যরাতে ভূপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ফড়ণবীস, সেখানে মহারাষ্ট্রের ইনচার্জ সি টি রবিও উপস্থিত ছিলেন। গতকালই বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরই বিজেপি শিবিরের এই তৎপরতা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রথম থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অনেকেই দাবি করছিলেন মহারাষ্ট্রের এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। তবে গেরুয়া শিবির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। বিদ্রোহী বিধায়কদের নেতা একনাথ শিন্ডেও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন, তিনি জানিয়েছিলেন “পাকিস্তানকে হারানো দলের সমর্থন আমাদের পিছনে রয়েছে”, এখন মহারাষ্ট্রের এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনে বিজেপির কোনও ভূমিকা আছে কি না, তা হয়ত আগামী দিনে আরও স্পষ্ট হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর থেকে যথেষ্ট চনমনে শিন্ডে শিবির। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর গতকালই গুয়াহাটির র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলে একাধিকবার বৈঠক করেছে বিদ্রোহী বিধায়করা। শোনা যাচ্ছে যেকোনও মুহূর্তে উদ্ধব সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করতে অনাস্থা আনতে পারে সেনা-বিদ্রোহীরা। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলে।

Next Article