Maoist Leader Encountered: স্নাইপার হাতে পেলেই শেষ, মাথার দাম ৮ লক্ষ টাকা! সেই মাওবাদী নেতাকে খতম করল বাহিনী
Maoist Leader Encountered: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোধির ব্রহ্মাস্ত্র ছিল তার স্নাইপার রাইফেল। এই নেতার স্নাইপারের দূরবিনে চলে আসা প্রাণ রক্ষা পাওয়া অসম্ভব। এতটাই নিখুঁত লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা বর্তমান মাওবাদী নেতাদের মধ্য়ে রয়েছে কিনা সন্দেহ। তবে সোধির থেকে সব সময় এক ধাপ উপরেই ছিল বাসবরাজ।

রায়পুর: মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা। সেই মাওবাদী নেতাকেই খতম করল নিরাপত্তারক্ষীরা। গত শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরের জঙ্গলে অভিযান চালিয়েছিল যৌথবাহিনী। সেই অভিযান পর্বেই এই কুখ্যাত মাওবাদী নেতাকে শেষ করেছে বাহিনী। সোমবার প্রকাশ্যে এনেছে নিহতের নাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনকাউন্টার হওয়া ওই মাওবাদী কোনও সাধারণ নেতা নয়। নাম সোধি কান্না। মাওবাদীদের সশস্ত্র শাখা ‘পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি’র বা পিএলজিএ-এর ব্যাটালিয়ন ১-র ডেপুটি কমান্ডার ছিল এই মাওবাদী নেতা। বন্দুক চালাতে অত্যন্ত দক্ষ। মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোধির ব্রহ্মাস্ত্র ছিল তার স্নাইপার রাইফেল। এই নেতার স্নাইপারের দূরবিনে চলে আসা প্রাণ রক্ষা পাওয়া অসম্ভব। এতটাই নিখুঁত লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা বর্তমান মাওবাদী নেতাদের মধ্য়ে রয়েছে কিনা সন্দেহ। তবে সোধির থেকে সব সময় এক ধাপ উপরেই ছিল বাসবরাজ। বলা হয়, তার হাতে নাকি সব সময়ই একটা AK-47 থাকত। সেটি ছাড়া কোথাও নড়ত না সে। মাস কতক আগেই সেই অস্ত্র-পটু বাসবরাজকেও খতম করেছে বাহিনী।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গলে ডিআরজি বিজাপুর, ডিআরজি দন্তেওয়াড়া, এসটিএফ, কোবরা, সিআরপিএফ-সহ একটি যৌথবাহিনী এই দমন অভিযান শুরু করেছিল। শনিবার পর্যন্ত জঙ্গলেই সার্চ অপারেশন চালায় তারা। তখন সোধির দলের লোকেদের সঙ্গে হয় গুলি চালাচালি। যাতে বাহিনীর গুলিতে খতম হয় সোধি। উদ্ধার হয় বেশ কিছু অস্ত্র। একটি রাইফেল, AK-47-র ম্যাগাজিন এবং প্রচুর বিস্ফোরক বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে খবর।

