নয়া দিল্লি : বৃহস্পতিবার দিল্লিতে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারদিনের সফরে রয়েছে একগুচ্ছ ঠাঁসা কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় সব সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা এবং রাজ্যসভা – দুই কক্ষের সাংসদরাই হাজির ছিলেন। ছিলেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের দিল্লির বাসভবনে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে সাংসদদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোটের উপর খোশমেজাজেই ছিলেন। তবে এরই মধ্যে সব সাংসদদের একসঙ্গে নিয়ে বৈঠক করে বার্তা দিয়ে গেলেন দলকে ঐক্যবদ্ধ করার। দলের গতিপ্রকৃতি আগামী দিনে কেমন হবে, কোন পথে এগোবে তৃণমূল, তারও একটি নীল নকশা তৈরি করে দিলেন এদিনের বৈঠক থেকে।
দলীয় সূত্রে খবর, এদিন সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে উঠে এসেছে ইডির প্রসঙ্গও। পাশাপাশি সংসদের বাদল অধিবেশন এবং ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের রোড ম্যাপ এদিনের বৈঠক থেকে তৈরি করে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির নিরিখে আরও একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু উঠে এসেছে আধ ঘণ্টার এই আলোচনায়। তা হল জেলাভাগের ইস্যু। মুর্শিদাবাদ জেলা ভাগ করার বিষয়টি নিয়েও কথা ওঠে এদিনের বৈঠকে। সাংসদ আবু তাহেরের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুর্শিদাবাদ জেলা যে তিনটি ভাগে ভাগ হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে আলোচনা করেই নামকরণ করা হবে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, এদিন আধ ঘণ্টার বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে যাওয়ার পরেও ভিতরে বেশ কিছুক্ষণ থেকে যান দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের আগামী নীল নকশা তৈরির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে জাতীয় রাজনীতিতে দলের ক্ষমতা বিস্তারের দিক থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন অভিষেক। কিছুদিন আগেই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এক নতুন তৃণমূল গড়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি।