পটনা: দেখাশোনা করে বিয়ে। বেশ সুখের সংসার ছিল। দুই সন্তানও হয়। কিন্তু বছরখানেক আগে থেকেই হঠাৎ স্ত্রীর স্বভাবে পরিবর্তন। আর ভালভাবে কথা বলে না। কথায় কথায় ঝগড়া করত। সন্তানদের দেখভালের বদলে সারাদিনই ডুবে থাকত মোবাইলে। তারপর হঠাৎ একদিন গায়েব হয়ে গেল। চারিদিকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও খোঁজ মিলল না। বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন স্বামী। আট মাস বাদে অবশেষে খোঁজ মিলল স্ত্রীর। তবে যে অবস্থায় পেলেন, তাতে লজ্জায় কানকাটা গেল স্বামীর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তির ফল। ফেসবুকেই এক যুবকের প্রেমে পড়লেন বিবাহিত মহিলা। এক বছর ধরে ফেসবুকেই প্রেমপর্ব চলার পর একদিন হঠাৎ প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান ওই মহিলা। লুকিয়ে দুজনে বিয়েও করেন। এদিকে, প্রথম পক্ষের স্বামী এইসব কাণ্ডের কিছুই জানতেন না। তিনি পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে অপহরণের অভিযোগও আনেন। শেষমেশ তদন্তে নেমেই ওই মহিলার হদিস পায় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজাফ্ফরপুরের কান্তি থানা এলাকায়। গত মার্চ মাসে ওই ব্যক্তি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। জানান, এক যুবক তাঁর দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে অপহরণ করেছে। ওই যুবকে আগে কখনও তিনি দেখেননি। ঘটনার দিনও তিনি বাড়ি ছিলেন না। প্রতিবেশীরাই এক যুবককে ঘরে ঢুকতে দেখেছিলেন।
তদন্তে নেমে দীর্ঘ আটমাস পর ওই মহিলার হদিস পায় পুলিশ। ততদিনে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে নিয়েছেন। পুলিশ ওই মহিলাকে থানায় নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সেখানেই তিনি প্রেমকাহিনী খুলে বলেন। জানান, হোলির সময় তিনি প্রেমিককে বিয়ে করেছেন। তাঁর সঙ্গেই এখন থাকেন। সম্প্রতিই শ্বশুরবাড়ি থেকে বোনের বাড়ি এসেছিলেন। তখনই পুলিশ তাঁকে ধরে।