Murder Case: পড়াশোনা না করে পাড়ার ছেলের সঙ্গে প্রেম, বন্ধ ঘরে মেয়ের সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাজ করলেন বাবা…

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 06, 2022 | 12:48 PM

Andhra Pradesh Crime: অ্যাম্বুলেন্স চালক ভারা প্রসাদ জানান, স্কুলের বই থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিস, মেয়ে যা চাইত, তিনি সবই দিতেন। কিন্তু তারপরও মেয়ে তাঁর কথা শুনত না, পড়াশোনায় ভীষণ অমনোযোগী ছিল।

Murder Case: পড়াশোনা না করে পাড়ার ছেলের সঙ্গে প্রেম, বন্ধ ঘরে মেয়ের সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাজ করলেন বাবা...
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

বিশাখাপত্তনম: মাত্র ১৬ বছর বয়স, এখন পড়াশোনায় মন দেওয়া উচিত, প্রেম-ভালবাসার সম্পর্ক পরে হবে। মেয়েকে রোজ এই কথাই বোঝাতেন বাবা। কিন্তু মেয়েও নাছোড়বান্দা, কিছুতেই পড়াশোনা করবে না সে। পাড়ারই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে ওঠে। বাবার কানে এই কথা যেতেই ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ করলেন। রাগের বশে খুন করে দিলেন বছর ১৬-র মেয়েকে। খুনের কথা আবার স্বীকারও করে নিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানান, মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন। সেই কারণেই তিনি খুন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ভারা প্রসাদ। ১৬ বছরের মেয়ে নিকিতা শ্রীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। মেয়েকে সবসময়ই তিনি পড়াশোনায় মনযোগ দিতে বলতেন। কিন্তু মেয়ে তাঁর কথা শুনতেন না। পাড়ার একটি যুবকের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। পড়াশোনা না করে মেয়ের প্রেম করছে, এই কথা জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভারা প্রসাদ। মেয়ের গলায় বেল্ট জড়িয়ে খুন করেন তিনি। পরে নিজেই একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেন, যেখানে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন এবং সেই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।

অ্যাম্বুলেন্স চালক ভারা প্রসাদ জানান, স্কুলের বই থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিস, মেয়ে যা চাইত, তিনি সবই দিতেন। কিন্তু তারপরও মেয়ে তাঁর কথা শুনত না, পড়াশোনায় ভীষণ অমনোযোগী ছিল। পাড়ারই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তিনি মেয়েকে সতর্ক করেছিলেন, ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু সে কথাও কানে দেয়নি কিশোরী।  এরপরই তিনি রাগের বশে মেয়েকে খুন করেন।

ভাইজ্যাক সিটি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুর সাড়ে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ভারা প্রসাদ নামক অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি মেয়ের গলায় বেল্ট জড়িয়ে খুন করেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, ১৩ বছর আগে ওই ব্যক্তির স্ত্রী অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে দুই মেয়েকে একাই বড় করেন ভারা প্রসাদ। কিন্তু দুই বছর আগে তাঁর বড় মেয়েও এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যায়। ছোট মেয়েও একই কাজ করার পরিকল্পনা করছিল, এমনটাই সন্দেহ ছিল অভিযুক্তের। সেই কারণেই তিনি রাগের বশে মেয়েকে খুন করেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Next Article