পুণে: নিজের শ্যালিকা ও তাঁর দুই সন্তানকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শ্যালিকা ও তাঁর বাচ্চাদের গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। খুনের পর দেহে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পুণের কোন্ধায়া এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কেন তিনি নিজের শ্যালিকাকে খুন করলেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার আগে শ্যালিকার সঙ্গে ওই ব্যক্তির তীব্র বাদানুবাদ হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে একাধিক পুরুষের সম্পর্ক ছিল। স্বামীর অনুপস্থিতিতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন ওই মহিলা। অনুমান সেই কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
৩০ বছরের ওই ব্যক্তি কোন্ধয়া এলাকায় নিজের শ্যালিকার বাড়ি এসেছিলেন বুধবার সন্ধ্যায়। সে সময় তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। অভিযোগ, এর পরই নিজের ২৫ বছরের শ্যালিকাকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেন ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তের শ্যালিকার ২টি সন্তান। এক জনের বয়স ৪ বছর। অপর জনের বয়স ৬ বছর। সেই বাচ্চাকেও ওই ব্যক্তি খুন করেন। তার পর তিন জনের দেহ চাদরে মুড়ে ফেলেন। এর পর অভিযুক্ত তাঁদের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিল পুলিশ। পুলিশ এসে মৃতদের দেউ উদ্ধার করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, “এক মহিলা ও তাঁর দুই সন্তানকে খুন করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মহিলার বাড়ি কোন্ধয়ার পিসোলি এলাকায়।” যদিও খুনের কারণের ব্যাপারে কিছু জানাননি ওই পুলিশ অফিসার।