ভরা ডেস্কে এসে পৌঁছল কন্ডোম, লজ্জায় লাল কর্মী, কী কীর্তি হচ্ছিল অফিসের অন্দরে?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 22, 2024 | 6:02 PM

Viral: গোটা অফিসের সামনে এমন অপ্রস্তুতিকর পরিস্থিতিতে পড়ে লজ্জায় লাল হয়ে যান ওই যুবক। সহকর্মীদের হাসাহাসি, প্রশ্নের মুখে পড়েন। বলেন, "অনেকে তো ভাবছেন যে আমি অফিসেই হয়তো যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হই!"

ভরা ডেস্কে এসে পৌঁছল কন্ডোম, লজ্জায় লাল কর্মী, কী কীর্তি হচ্ছিল অফিসের অন্দরে?
প্রতীকী চিত্র।
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

নয়া দিল্লি: অফিসে বসে কত কিছুই না অর্ডার করি আমরা। খাবার থেকে শুরু করে অনেকে গৃহসজ্জা, সাজগোজ, এমনকী রান্নার মশলাপাতি বা মাছ-মাংসও  অর্ডার করেন অনেকে। সুইগি ইন্সটামার্ট, ব্লিঙ্কিট, জ়েপ্টোর মতো ফাস্ট ডেলিভারি অ্যাপের দৌলতে মিনিট দশেকের মধ্য়েই যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস হাতে পাওয়া যায়। তবে অনলাইন ডেলিভারি অ্যাপে অর্ডার করেই এমন কাণ্ড ঘটল যে গোটা অফিসেই লজ্জায় একাকার হলেন এক কর্মী। কেন জানেন? তিনি অফিসে অর্ডার করেছিলেন কন্ডোম।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ব্যক্তির পোস্ট। তিনি ক্ষোভ-দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছেন, “সুইগি ইন্সটামার্ট আমায় শেষ করে দিল!”। দিল্লির বাসিন্দা ওই যুবকের অভিযোগ, তিনি অফিসের ঠিকানায় কন্ডোম অর্ডার করেছিলেন। সুইগি থেকে সেই প্যাকেট ডেলিভারিও করা হয়। কিন্তু তার প্যাকেজিং এমন ছিল যে গোটা অফিসেই সবাই জানতে পেরে যান যে তিনি অনলাইনে কন্ডোম অর্ডার করেছেন, যার কারণে চরম অস্বস্তি-লজ্জায় পড়েন তিনি।

ওই যুবক জানিয়েছেন, তাঁর নৈনিতাল ঘুরতে যাওয়ার কথা। বিকেলের বাস, এদিকে সকালে অফিসে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তাড়াহুড়োয় কন্ডোম কিনতে ভুলে যাওয়ায় অনলাইনেই কন্ডোম অর্ডার করেছিলেন। যে ব্যক্তি ডেলিভারি দিতে এসেছিলেন, তাঁকে বলেন যে রিসেপশনে যেন প্যাকেটটি রেখে যান। ছুটির সময় যখন প্যাকেটটি নিতে যান, তখন দেখেন, পাতলা ফিনফিনে একটি গোলাপি রঙের প্লাস্টিকে ভরা রয়েছে কন্ডোমের প্যাকেট, যা বাইরে থেকেই দেখা যাচ্ছে।

গোটা অফিসের সামনে এমন অপ্রস্তুতিকর পরিস্থিতিতে পড়ে লজ্জায় লাল হয়ে যান ওই যুবক। সহকর্মীদের হাসাহাসি, প্রশ্নের মুখে পড়েন। বলেন, “অনেকে তো ভাবছেন যে আমি অফিসেই হয়তো যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হই!”

ওই ব্যক্তির পোস্টের কমেন্টে অনেকে আবার লিখেছেন, “সুস্থ মস্তিষ্কের কোন মানুষ অফিসে কন্ডোম অর্ডার করে?”। কেউ আবার লিখেছেন, “এই লজ্জা সহকর্মীদের মধ্যে ভাগ করে নিন”। একজন আবার গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক তুলে ধরেছেন। প্রতিটি কর্পোরেট অফিসেই যেহেতু পস (POSH) নিয়ম থাকে, তাই রিসেপশনিস্ট যদি ওই প্যাকেট নিতে অস্বস্তি বোধ করতেন, তাহলে ওই ব্যক্তি চরম সমস্যায় পড়তে পারতেন।

Next Article