চুল্লিতে ঢোকানো হত ২ মিনিট পরই, নড়ে উঠল খাটিয়াটা, ‘ময়নাতদন্ত’ হওয়ার পরও জ্যান্ত হয়ে উঠলেন মৃত ব্যক্তি!

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 22, 2024 | 1:14 PM

Dead body Came to Life: রোহিতেশ নামক মানসিক ভারসাম্যহীন ও বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তিকে ঝুনুঝুনুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ব্যক্তি যে এনজিও-র তত্ত্বাবধানে থাকতেন, তারাই এনে ভর্তি করেন। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয় ওই ব্যক্তিকে। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকরা এসে জানান, ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মর্গেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

চুল্লিতে ঢোকানো হত ২ মিনিট পরই, নড়ে উঠল খাটিয়াটা, ময়নাতদন্ত হওয়ার পরও জ্যান্ত হয়ে উঠলেন মৃত ব্যক্তি!
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জয়পুর: যমালয়ে জীবন্ত মানুষ সিনেমার কথা মনে আছে? জীবন্ত অবস্থাতেই যমালয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তো তোলপাড় কাণ্ড। এবার ঘটল উল্টো ঘটনা। যমালয় থেকে ফিরে এলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি! তাঁর দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যাবতীয় প্রস্তুতিও হয়ে গিয়েছিল, শুধু চুল্লিতে ঢোকানোর অপেক্ষা। এমন সময়ে হঠাৎ নড়ে উঠল প্লাস্টিকটা। ভিতর থেকে বেরিয়ে এল হাত। তারপর খাটিয়ে থেকে উঠে বসলেন মৃত ব্যক্তিই!

হাসপাতাল থেকে মৃত ঘোষণা করা ব্যক্তিই বেঁচে উঠলেন সৎকারের আগের মুহূর্তে। তাও আবার নাকি তাঁর ময়নাতদন্তও হয়েছে। কাটাছেঁড়া করা মৃতদেহ কীভাবে আবার প্রাণ ফিরে পেতে পারে? অদ্ভুতুড়ে এই ঘটনাই ঘটেছে রাজস্থানের ঝুনুঝুনুতে। এই ঘটনার পরই কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগ তুলে তিনজন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্তেরও।

জানা গিয়েছে, রোহিতেশ নামক মানসিক ভারসাম্যহীন ও বিশেষভাবে সক্ষম এক ব্যক্তিকে ঝুনুঝুনুর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ব্যক্তি যে এনজিও-র তত্ত্বাবধানে থাকতেন, তারাই এনে ভর্তি করেন। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয় ওই ব্যক্তিকে। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসকরা এসে জানান, ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মর্গেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এখানেই ঘটে আসল কাণ্ড। যেহেতু ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন, তাই দেহটি দাবিদারহীন ভেবে চিকিৎসকরা আর ময়নাতদন্ত করেননি। নকল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করে তা পুলিশকে দিয়ে দেয়।

পুলিশই সৎকারের ব্যবস্থা করে। তার আগে প্রায় ৪ ঘণ্টা মর্গের ফ্রিজারে রাখা ছিল দেহটি। যখন তাঁর দেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, সেই সময় আচমকা উঠে বসেন ‘মৃত’ ঘোষিত ওই ব্যক্তি। পুলিশ থেকে শশ্মানের সকলেই হতবাক হয়ে যান।

এই বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রশাসনের তরফে জেলা রেভেনিউ অফিসার ও পুলিশকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেই গোটা ঘটনাটি সামনে আসে। কর্তব্য এমন মারাত্মক গাফিলতির অভিযোগে ওই হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ও দুই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Next Article