নয়া দিল্লি: ড্রাগ নিয়ে বিবাদ। গত ছয় বছর ধরে একসঙ্গে লিভ ইন করছিলেন তাঁরা। এর মধ্যে একদিন যুবতী জানতে পারেন, তাঁর পার্টনার মোহিত বন্ধুর বাড়িতে ড্রাগ নিচ্ছেন। সেই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা বাঁধে। তার জেরেই যুবতীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে মোহিতের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহিত নিজের লিভ ইন পার্টনারের গায়ে তারপিন তেল ঢালেন। তারপর আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে এসজিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মৃত্যু হয় যুবতীর। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির আমান বিহারের ঘটনা।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাছে খবর আসে, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ২৮ বছরের এক যুবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ। কিন্তু সেই সময় যুবতীর শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে পুলিশ তাঁর বিবৃতি রেকর্ড করতে পারেনি। তবে তদন্ত জারি ছিল পুলিশের। সেখান থেকেই জানা যায় উত্তর-পশ্চিম দিল্লির বলবীর বিহারের বাসিন্দা ওই যুবতী। তিনি একটি জুতো কারখানায় কাজ করেন। তদন্তে আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। ওই যুবতী ছয় বছর আগে নিজের স্বামী ও এক সন্তানকে ছেড়ে চলে আসেন। আর গত ছয় বছর ধরে তিনি মোহিত নামের এক যুবকের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন। তাঁদের দু’জনের এক সন্তানও রয়েছে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, যুবতী জানতে পেরে যায় মোহিত ড্রাগ নেয়। তা নিয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি মোহিত ও ওই যুবতীর মধ্যে বচসা বাঁধে। তারপর মোহিত তাঁর গায়ে তারপিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। যুবতীকে প্রথমে এসজিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সফদরজং হাসপাতাল এবং পরে এইমস ট্রমা সেন্টারে তাঁকে স্থানান্তর করা হয়। শেষ পর্যন্ত সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের বিবৃতির ভিত্তিতেই আমান বিহার পুলিশ স্টেশনে মোহিতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোহিতকে আটকও করা হয়েছে এবং এই মামলায় তদন্ত জারি রয়েছে।