নয়া দিল্লি: হোটেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি ও মহিলা। সেখানেই দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি। তারপর রাগের মাথায় বান্ধবীর উপর গুলিই চালিয়ে দিলেন ব্যক্তি। তারপর নিজের মাথাতেও চালালেন গুলি (Fired)। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। দিল্লির নারেলা এলাকার ঘটনা। বর্তমানে আহত ব্যক্তি মাথায় ক্ষত নিয়ে সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে (Sanjoy Gandhi Hospital) চিকিৎসাধীন।
৩৮ বছর বয়সী প্রবীণ ওরফে সিতু। আর তার বান্ধবী ৩৯ বছর বয়সী গীতা। গীতার সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সিতুর। সিতুর স্ত্রী ও সন্তান গ্রামে বসবাস করে। ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার দিল্লির নারেলায় একটি হোটেলে যান তাঁরা। তাঁরা সেখানে চেক ইন করেন। হোটেলের এক কর্মী জানিয়েছেন, হোটেলের রুমেই দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। আর রেগে গিয়ে বান্ধবীর বুকে গুলি চালায় সিতু। তবে বান্ধবীকে গুলি করার পরই সম্বিৎ ফেরে তার। সে নিজেকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করে। নিজের মাথায় গুলি চালায় সিতু। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।
এই ঘটনার পরই হোটেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে তড়িঘড়ি পৌঁছায় পুলিশ আধিকারিকরা। গুলিবিদ্ধ গীতা ও সিতুকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার পরই ডাক্তাররা গীতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন প্রবীণ ওরফে সিতু। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আরও একটি তথ্য উঠে এসেছে। ২১ সেপ্টেম্বর একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিল। পরে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল।