লখনউ: মধ্য রাতে তুমুল হইচই। রাতের অন্ধকারে খাটে কেউ একজন এসে শুয়ে পড়ল। তারপর হঠাৎ জড়িয়ে ধরে শুরু করল ‘নোংরামি’। ভয়ে চিৎকার করে উঠল যুবতী। তাঁর চিৎকারে ছুটে এল বাড়ির সবাই। লাইট জ্বালতেই মাথায় হাত পরিবারের। যা দেখলেন তাতে লজ্জায় মাথা কাটা গেল। কী দেখেছিলেন?
মাঝরাতে যুবতীর বিছানায় উঠে হাতেনাতে ধরা পড়ে এক যুবক। সে আবার ওই যুবতীর বৌদির বন্ধু। তাহলে রাতের অন্ধকারে কেন এমন কাণ্ড ঘটাল যুবক? চেপে ধরে বেধড়ক মার দিতেই যুবক জানাল, সে আসলে তাঁর বান্ধবীর সঙ্গেই দেখা করতে এসেছিল। গোপনে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। রাতে সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পর তাঁরা গোপনে দেখা করত। শারীরিক সম্পর্কও ছিল তাঁদের মধ্যে।
গত ৫ নভেম্বরও প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল যুবক। রাত দেড়টা নাগাদ বারান্দা টপকে দোতলায় পৌঁছয় যুবক। কিন্তু লাইট নেভানো থাকায় গণ্ডগোল বাধে। ভুল করে প্রেমিকার বিছানার বদলে তাঁর ননদের বিছানায় পৌঁছে যায়। সেখানে তার সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি শুরু করতেই যুবতী চিৎকার করে ওঠে। পরিবারের সদস্যরা ওই যুবককে মারধর করে। কেনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যায় যুবক। এর ৬ দিন পরে ওই যুবক এসে তাঁর প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বদাউনে। বিবাহিত যুবতী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যেতেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। তবে তারা পুলিশের বিরুদ্ধেও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনেছে। তাদের অভিযোগ, ওই যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই পুত্রবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। বড় ছেলেকেও হত্যার চেষ্টা করে তাঁরা। সে দিনের ঘটনার পর পুলিশে গোটা বিষয়টি জানালে, পুলিশ কেবল শ্লীলতাহানির অভিযোগই দায়ের করেছে। পুত্রবধূকে নিয়ে পালানোর বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ।
উল্টোদিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তা বলেন, “শুধু শ্লীলতাহানির অভিযোগই পেয়েছি আমরা। অন্য কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”