ইম্ফল : এতদিন মদের প্রস্তুতি ও মদ্যপান নিষিদ্ধ ছিল মণিপুরে। তবে এবার উত্তর-পূর্বের রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য খুশির খবর। রাজ্যে এবার থেকে পাওয়া যাবে অ্যালকোহল।মদ তৈরি ও বিক্রি এবং মদ্যপানের উপর থেকে আংশিকভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার। মদ বিক্রি থেকে আয় করতেই এন বীরেনের সরকার এই সিদ্ধান্তি নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি বিষ মদপান থেকে শারীরিক ক্ষতি এড়ানোর দিকেও নজর ছিল রাজ্য সরকারের।
গতকাল মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকের পরই জনজাতি ও পাহাড়ের উন্নয়ন মন্ত্রী লেটপাও হাওকিপ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইম্ফল শহর সহ সমস্ত জেলা সদর, পর্যটন কেন্দ্র, ২০ শয্য়ার সুবিধা থাকা হোটেল, নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প এলাকায় মদের উপর নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তবে তিনি জানিয়েছেন, তবে কোনও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মদ নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পার্মিট লাগবে।
জানা গিয়েছে, এই মদের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বার্ষিক ৬০০ কোটি টাকা আয় হবে। এদিকে এই ক্যাবিনেট মন্ত্রী জানিয়েছেন স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেও এই পথে হেঁটেছে সরকার। রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ থাকায় বিষমদ খেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে শারীরিক ক্ষতির এই সম্ভাবনা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যবাসীর আন্দোলনের পর সরকার মণিপুর মদ নিষিদ্ধ আইন ১৯৯১ এর মাধ্যমে রাজ্যে মদে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছিল। এই আইন কার্যকর করার পর রাজ্যে মদ প্রস্তুত, বিক্রি ও মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও রাজ্যে মদ্যপানে রাশ টানা যায়নি। রাজ্যের একাধিক জায়গায় মদ পাওয়া যেত। তাই স্বাস্থ্য ও আয়ের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে আংশিকভাবে মদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হল। এদিকে সরকার সেকমাই ও অ্যান্ড্রো গ্রাম থেকে দেশি মদ রফতানি করার কথা ভাবছে সরকার। এই লক্ষ্য়ে মদ প্রস্তুতির বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি জানতে মণিপুর সরকারের একটি ক্যাবিনেট সাব-কমিটি গোয়ায় গিয়েছে।