ইম্ফল: কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। যার জেরে মঙ্গলবার দুপুরে মণিপুরের (Manipur) বিষ্ণুপুর জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চেকিংপয়েন্ট থেকে সরানো হয় অসম রাইফেলস (Assam Rifles) বাহিনীকে। তার কয়েক ঘণ্টা পর আরও এক বড় পদক্ষেপ করল মণিপুর পুলিশ (Manipur Police)। অসম রাইফেলসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তারা FIR দায়ের করল। অন্যদিকে, ইম্ফল পূর্ব ও ইম্ফল পশ্চিম জেলায় কারফিউ (Curfew) শিথিল করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের জন্যই কারফিউ শিথিল করা হয়।
মণিপুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর জেলার মোইরাং লামখাই চেকপয়েন্ট থেকে অসম রাইফেলস বাহিনীকে সরানোর ব্যাপারে সোমবারই রাজ্য পুলিশের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়। মণিপুর পুলিশের অতিরিক্ত ডিজিপি (আইন-শৃঙ্খলা) নির্দেশিকায় জানান, বিষ্ণপুর-কাংভাই রোডে চেকপয়েন্টে ৯ অসম রাইফেলসের জায়গায় আসবে সিআরপিএফ। নির্দেশিকা জারির সঙ্গে সঙ্গেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
ডিজিপি-র সেই নির্দেশিকার ভিত্তিতে মঙ্গলবার মোইরাং লামখাই চেকপয়েন্ট থেকে অসম রাইফেলসকে সরানো হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরই অসম রাইফেলসের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে মণিপুর পুলিশ। অভিযোগ, রাজ্য পুলিশকে গত শনিবার বিষ্ণুপুর জেলায় তিনজনকে হত্যার পিছনে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করার ব্যাপারে বাধা দেয় অসম রাইফেলসের কর্মীরা। চাপে পড়েই অসম রাইফেলসের বিরুদ্ধে মণিপুর পুলিশ পদক্ষেপ করল বলে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকে কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে উত্তাল মণিপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই সিআরপিএফ, অসম রাইফেলস সহ কেন্দ্রীয় বাহিনী মণিপুরে মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু, অসম রাইফেলসের কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন এবং একটি শ্রেণিকে আড়াল করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদে সম্প্রতি রাস্তায় নেমে সরব হয়েছেন বিষ্ণুপুর জেলার বাসিন্দারা। মহিলারাও পোস্টার হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান এবং অসম রাইফেলসকে সরানোর দাবি জানান।