Manipur Violence: মণিপুরে সিবিআই তদন্ত শুরু, অপরাধীদের কড়া শাস্তির দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Amit Shah: দুই পড়ুয়ার মৃত্যু এবং নতুন করে মণিপুরের অশান্তি নিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিতভাবে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যক্তিগতভাবে আমায় ফোন করেছিলেন। সিবিআই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।"
নয়া দিল্লি: দুই পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে ফের উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur)। নতুন করে রাজ্যে শুরু হয়েছে অশান্তি। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ, ভাঙচুর চলছে। পড়ুয়া মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমেছে পড়ুয়ারা। বুধবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (N Biren Singh) জানান, দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে কথা হয়েছে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও কড়া শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে, তদন্ত করতে বুধবারই ইম্ফলে পৌঁছয় সিবিআই-র দল।
দুই পড়ুয়ার মৃত্যু এবং নতুন করে মণিপুরের অশান্তি নিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিতভাবে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যক্তিগতভাবে আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন সিবিআই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে এন বীরেন সিং বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে এবং আইন অনুযায়ী কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। অপরাধীরা কেউ ছাড়া পাবে না।”
অন্যদিকে, দুই পড়ুয়ার হত্যার ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে মণিপুর সরকার। বুধবার সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ইম্ফলে পৌঁছন। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই তদন্ত শুরু করা হবে।
জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাস থেকেই ওই দুই পড়ুয়া নিখোঁজ ছিল। সোমবার তাদের মৃতদেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপরই রাজ্যে অশান্তি ছড়ায়। ইম্ফলে পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কাঁদানে গ্যাস, স্মোক বম্ব, লাঠি চার্জে কমপক্ষে ৬৫ জন পড়ুয়া আহত হয়। বুধবার থৌবাল জেলায় বিজেপি মন্ডল অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। ইন্দো-মায়ানমার হাইওয়েতেও কাঠের গুড়ি ও ইলেকট্রিক পোল ফেলে দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা।