মুম্বই: ফুটফুটে এক রত্তি মেয়ে। সারাদিন মাতিয়ে রাখত বাড়ি। হঠাৎ একদিন নিখোঁজ হয়ে গেল শিশুকন্যা। চারিদিকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও কোথাও পাওয়া গেল না। তিনদিন পর শেষে আধপোড়া দেহ উদ্ধার হল। কিন্তু ঘটনার তদন্তে নেমে যে তথ্য পুলিশের হাতে এল তাতে স্তম্ভিত সকলে।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলায়। গত ১৮ নভেম্বর উলহাসনগরে বাড়ির কাছ থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় তিন বছরের শিশুকন্যা। শিশুটির মা তন্নতন্ন করে সব জায়গায় খোঁজে। শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন। দায়ের করা হয় নিখোঁজ ডায়েরি। বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই এলাকারই এক ঝোপ থেকে শিশুকন্যার আধ পোড়া দেহ উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিল, হয়তো কেউ অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। সেই সূত্র খুঁজতেই জেরা করা হচ্ছিল পরিবারের সদস্যদের। সেখানেই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পারল পুলিশ। জানা যায়, বাইরের কেউ নয়, ওই ছোট্ট শিশুকে খুন করেছে তাঁর মামাই।
ধৃত ৩৮ বছরের ওই ব্যক্তির দাবি, সোমবার ভাগ্নির সঙ্গে খেলছিলেন। খেলার মধ্যে মজা করেই চড় মেরেছিলেন তিন বছরের ভাগ্নিকে। তাতে যে এমন অঘটন ঘটবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি। চড়ের আঘাতে মাথা ঠুকে যায় শিশুর। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
অপরাধ লুকোতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন ব্যক্তি। লোপাট করে দিলেন ফুটফুটে শিশুর দেহ। দিদিকে জানাননি কিছু, উল্টে তাঁর সঙ্গে থানাতেও যান নিখোঁজ ডায়েরি করতে। এরপর ভোটের দিন যখন সবাই ব্যস্ত ছিলেন, সেই সময় স্ত্রী ও এক বন্ধুকে নিয়ে শিশুটির দেহ বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। ওই বন্ধুর রিক্সাতেই দেহ নিয়ে যায়। ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। দূর থেকে লোকজন আসতে দেখে, অর্ধদ্বগ্ধ অবস্থাতেই দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।