মুম্বই: উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর পিছনে তাঁর অবদানের কথা অস্বীকার করবে, গোটা বিজেপিতে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। দলকে আবার সরকারে আনতে তাঁর কৌশল যে কাজ করেছে, তা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। উদ্ধব ইস্তফা দিতেই তাই রাজ্যের দু’বারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘পুরস্কৃত’ করে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে উপ-মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। অনেকের মতে, হিসেব মতো বিজেপি নেতার ‘প্রমোশন’ পাওয়ার কথা থাকলেও হিসেব মতো তাঁর ডিমোশন হয়েছে। এতেই দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের (Devendra Fadnavis) দিকে ধেয়ে আসছে একের পর এক কটাক্ষ। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সরকারি টুইটার থেকে ফড়ণবীসকে ‘অগ্নিবীর’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। কেন্দ্রীর সরকারের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে দেশ উত্তাল হয়েছিল। ‘অগ্নিবীর’দের কোনও ভবিষ্যৎ নেই, এমনটা বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। এবার সেই কটাক্ষই ধেয়ে এল ফড়ণবীসের দিকে।
কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ অভিষেক মনু সিংভিও ফড়ণবীসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। সিংভি বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধবের হয়ে মামলা লড়ছেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য ফড়ণবীসকে ‘লালকৃষ্ণ আডবাণী’ বলে কটাক্ষ করে তিনি একটি টুইট করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, “এই বছরের সবথেকে বড় প্রশ্ন এটাই, যে কেন ঘোড়া কেনাবেচার পরও বিজেপিকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিতে হল? ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন এক লালকৃষ্ণ আডবাণীর জন্ম হল। দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এখনও মন থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য অপেক্ষা করছেন।”
দেবেন্দ্র ফড়ণবীস মহারাষ্ট্রের দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছিল, উদ্ধবের ইস্তফার পরই নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেবেন এবং একনাথ শিন্ডে হবেন তাঁর ডেপুটি। ফড়ণবীসকেও দেখেও তাঁর আত্মবিশ্বাসী মনোভাব ধরা পড়েছিল। কিন্তু খোদ ফড়ণবীসের মুখে শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা শুনে চমকে গিয়েছিলেন তাবড় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার সময় দৃশ্যতই ফড়ণবীসকে অসন্তুষ্ট দেখাচ্ছিল। বিজেপির এই চালের পিছনে কী অঙ্ক রয়েছে, তা আগামী দিনেই বোঝা যাবে।