নয়া দিল্লি: অনেকেই বিয়ের জন্য বিভিন্ন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট বা সংবাদপত্র পাত্র-পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। মাঝে মধ্যেই দেখা যায় বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে অনেক অসাধু ব্যক্তি নানা রকম প্রতারণার ফাঁদ পাতেন। কিন্তু দিল্লির এক ব্যক্তি বিয়েকে কেন্দ্র করে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন, যাতে চোখ কপালে উঠে গিয়েছে অনেকের। ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Delhi Cyber Crime Police Station)। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের (Matrimonial Sites) মাধ্যমে গোটা দেশের ১০০ জনের বেশি মহিলার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভুয়ো নামে প্রোফাইল খুলে তিনি মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করত বলেই জানিয়েছে পুলিশ। মার্চ মাসে এইমসের এক মহিলা চিকিৎসক সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটবার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই ব্যক্তির কুকীর্তি ফাঁস করে।
পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয় জানার পর মুখ হাঁ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি আদতে ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা, কিন্তু বর্তমানে ওড়িশার কেওনঝড়ে থাকেন। ওই ব্যক্তি বিবাহিত এবং তাঁর ৩ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি নিজের ধনী ব্যবসায়ী ও অবিবাহিত দাবি করে বিভিন্ন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে একাধিক ভুয়ো প্রোফাইল খুলত। বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে চ্যাটে নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার বলেও দাবি করেছে এই ব্যক্তি পাশাপাশি জানিয়েছে, তাঁর এমবিএ ডিগ্রিও রয়েছে। কিন্তু পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে আদতে সে উচ্চমাধ্যমিক পাশ।
মহিলাদের মন পেতে বার্ষিক ৪০ লক্ষ টাকা আয়ের কথাও জানিয়েছিল সে। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে বিয়ের নাম করে একাধিক মেয়ের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ব্যবসায় সাহায্যের নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। বিএমডব্লিউ গাড়ি করে ওই মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে যেত। ব্যবসা বাড়ানোর নাম করে অনেক মহিলার থেকে সে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জেরাতে পুলিশ জানতে পেরেছে ২০১৫ সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। গোটা দেশেই নিজের জাল বিস্তৃত করেছিল সে। পুলিশ এখনও ঘটনার তদন্ত করছে।