নয়াদিল্লি: লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যুগলের মধ্যে যৌন সম্পর্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। বিবাহ করার আইনি সুযোগ নেই এমন পরিণত বয়স্ক মহিলা স্বেচ্ছায় কোনও সঙ্গীর সঙ্গে লিভ ইন পার্টনার হিসাবে থাকার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারেন না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। সম্প্রতি এক মামলার প্রেক্ষিতে এ কথা জানিয়েছে আদলত।
এই মামলা নিয়ে বিচারপতি স্মরণকান্ত শর্মা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এই মামলার দুই পক্ষই বিবাহিত। কিন্তু বিবাহের বাইরে অন্য সঙ্গীর সঙ্গে তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু বিবাহিত মহিলা লিভ ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। কিন্তু ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা এই ধরনের ‘নির্যাতিতা’কে সুরক্ষা দেবে না।
এই মামলার ক্ষেত্রেও সেই ঘটনা ঘটেছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বিবাহিত মহিলা তাঁর লিভ ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। অভিযোগকারিণী মহিলা বিবাহিত। এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। অন্যদিকে তাঁর প্রেমিক তথা লিভ ইন সঙ্গীও বিবাহিত। বেশ কয়েক মাস সঙ্গী হিসাবে থাকার পর ওই সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এ কথা জানিয়েছে আদালত। লিভ সঙ্গীর দুজনই অবিবাহিত বা এক জন অবিবাহিত সেই প্রেক্ষাপট আলাদা বলে মনে করে আদালত। কিন্তু পরিণত বয়স্ক বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে এই যুক্তি খাটে না। এই মামলার মতো দুই নারী-পুরুষ যদি লিভ ইন সম্পর্কে থাকেন, তাহলে তাঁরা নিজেদের সম্মতিতে সব কিছু বিচার করেই থাকছেন বলে মনে করছে আদালত। যেহেতু এ ক্ষেত্রে অভিযোগকারিণী এবং অভিযুক্তের পক্ষে আইনি বিবাহ সম্ভব নয়, তাই বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের প্রসঙ্গও যুক্তিসঙ্গত নয় বলে মত বিচারপতির।