কলকাতা: টাকা-পয়সার জীবনে অভাব ছিল না। বাবা ছিলেন প্রাক্তন মার্কিন সেনা আধিকারিক। নিজেও কাজ করতেন বড় টেক কোম্পানিতে। কিন্তু এত সুখ পেয়ে পা টিকল না ঘরে। সব ভুলে বছর বছর ধরে ঘরছাড়া সে। খুঁজছেন শান্তি। আপাতত সেই শান্তির খোঁজেই তিনি এসেছেন গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী ত্রিবেণীর মহাসঙ্গমে।
নাম বৈশ্যানন্দ গিরি। মহাকুম্ভে এসে তিনি স্থান পেয়েছেন নিরঞ্জনী আখড়াতে। পেয়েছেন আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদও। এবার থেকে এই আখড়াতেই থাকবেন তিনি। শেখাবেন যোগা, ধ্যান ও সংস্কৃত। কিন্তু বৈশ্যানন্দ হয়েই তাঁর জন্ম নয়। থাকতেন আমেরিকায়। বাবা ছিলেন মার্কিন সেনা। নিজেও কাজ করেছেন কিছু ছোট-বড় টেক সংস্থার সঙ্গে। টম নামেই ছিল তখন পরিচিতি।
টম হলেন বৈশ্যানন্দ
তাঁর কাছে এটা যেন একটা নতুন জন্ম। ১৫ বছর বয়স থেকে হিন্দু ধর্মের প্রতি বাড়ে টান। তখনই কিন্তু সন্ন্যাস নিয়েছিলেন এমনটা নয়। প্রথম জীবনে আদি শঙ্করাচার্যের আর্দশের পাঠ পড়তেন তিনি। সেই সূত্রে ধরে শিখেছিলেন যোগা ও সংস্কৃত ভাষা। ২০১৩ সালে এসেছিলেন কুম্ভে মেলায়। সেই বারই স্বামী কৈলাসানন্দের কাছ থেকে সন্ন্যাস জীবনের যাত্রা শুরু করেন তিনি।
#WATCH | Prayagraj, UP | Pattabhishek of Vyasanand Giri Maharaj was done at Niranjani Akhara in the presence of Swami Kailashanand Giri Maharaj. Laurene Powell Jobs, wife of the late Apple co-founder Steve Jobs also performed the ritual pic.twitter.com/rKxppUOx1Q
— ANI (@ANI) January 12, 2025
সম্পর্কে ছেদ আনেননি আমেরিকার সঙ্গে। নিজের দেশেও মাঝে মধ্যে যাতায়াত করেন তিনি। ইতিমধ্যে আমেরিকার একাধিক স্থানে নিজের আশ্রমও খুলে ফেলেছেন বৈশ্যানন্দ। সেখানে গিয়ে যোগা, ধ্য়ান ও সংস্কৃত ভাষা শেখান তিনি। চলতি বছর আবার নিরঞ্জনী আখড়াতেও নাম লিখিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে পেয়েছেন মহামণ্ডলেশ্বরের পদও।