তুরা: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের (Meghalaya Assembly Election 2023) ভোটগ্রহণ। তার আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিলং এবং দক্ষিণ তুরা জেলার পিএ সাংমা স্টেডিয়ামে একটি নির্বাচনী সমাবেশ করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শিলং-এর সভা নিয়ে আপত্তি না থাকলেও, মেঘালয় সরকারের ক্রীড়া বিভাগ তুরাতে তাঁর সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে অসন্তুষ্ট বিজেপি। গেরুয়া শিবির বলেছে, এই ভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে থামানো যাবে না। কিন্তু, কেন প্রধানমন্ত্রীকে তুরায় সভা করা অনুমতি দেওয়া হল না? মেঘালয়ের ক্রীড়া বিভাগের দাবি, পিএ সাংমা স্টেডিয়ামে নির্মাণকাজ চলছে। তাই, এই অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তুরা জেলার নির্বাচনী অফিসার স্বপ্নিল তেম্বে বলেছেন, “ক্রীড়া বিভাগ জানিয়েছে, স্টেডিয়ামে এত বড় সমাবেশের আয়োজন করা উপযুক্ত হবে না। কারণ সেখানে এখনও নির্মাণকাজ চলছে। সেখানে অনেক নির্মাণ সামগ্রী রাখা আছে। সেগুলি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সভাটি একেবারে বাতিল না করে আলোটগ্রে ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে বিকল্প স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে সেখানে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন কি না, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। বিজেপির মেঘালয় নির্বাচন কমিটির সহ-আহ্বায়ক রূপম গোস্বামী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য একটি বিকল্প স্থান চূড়ান্ত করেছে দল। জেলা প্রশাসনের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। বিজেপির জাতীয় সম্পাদক তথা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির যুগ্ম ইনচার্জ ঋতুরাজ সিনহা বলেছেন, স্থান নিশ্চিত না হলেও নির্ধারিত সমাবেশটি হবেই।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যদি একবার মেঘালয়ের জনগণের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে কোনও কিছুই তাঁকে আটকাতে পারবে না। মাত্র দুই মাস আগে এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে। কীভাবে সেটিকে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের জন্য অসম্পূর্ণ এবং অনুপলব্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হল? এটা হাস্যকর। কনরাড সাংমা এবং মুকুল সাংমা কি আমাদের (বিজেপিকে) ভয় পাচ্ছেন? তাঁরা এইভাবে মেঘালয়ে বিজেপির তরঙ্গ থামানোর চেষ্টা করছেন। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু রাজ্যের মানুষ তাদের মন তৈরি করে ফেলেছে।”
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ের ৬০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। তারপর ২ মার্চ ত্রিপুরা, এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গেই মেঘালয়ের নির্বাচনের ফলাফলও ঘোষণা করা হবে। মজার বিষয় হল, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর এনপিপি এবং বিজেপি জোট সরকার গড়েছিল। তবে, আসন্ন নির্বাচনের আগে শাসক জোট ভেঙে গিয়েছে। জোট ভাঙার পর থেকে একেবারে সাপে-নেউলে সম্পর্ক এনপিপি-বিজেপির। এনপিপির বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এবার, প্রধানমন্ত্রীর সভার অনুমতি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ আরও তীব্র হল।