India-UNSC: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া কি শুধুই সময়ের অপেক্ষা?

Soumya Saha |

Apr 03, 2024 | 7:00 AM

UNSC: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন, 'এখন গোটা বিশ্ব বুঝতে পারছে যে এখানে বদল আসা দরকার এবং ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত। আর বিশ্বব্যাপী এই ভাবনাকে বছর বছর বাড়তে দেখছি আমি।' বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'আমরা নিশ্চয়ই স্থায়ী সদস্যপদ পাব। কিন্তু যে কোনও বড় কিছু পেতে গেলে কঠোর পরিশ্রম অবশ্যই প্রয়োজন হয়।'

India-UNSC: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া কি শুধুই সময়ের অপেক্ষা?
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়ে এবার জোরদার আশার আলো দেখালেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া ‘অবশ্যম্ভাবী’ বলেই মনে করছেন তিনি। রাজকোটে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় এ কথা বলেন তিনি। তবে একইসঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দেন যে এর জন্য পরিশ্রমও চালিয়ে যেতে হবে ভারতকে। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের পক্ষেই যে বিশ্বের একটি বড় অংশ রয়েছে, সে কথাও বুঝিয়ে দেন বিদেশমন্ত্রী।

সংবাদসংস্থা পিটিআই বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘আজ থেকে ৮০ বছর আগে রাষ্ট্রসংঘ তৈরি হয়েছিল। তখন এই পাঁচটি দেশ নিজেরাই ঠিক করে নিয়েছিল তারা নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য হবে। এই পাঁচটি দেশের হাতেই নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এবং অদ্ভুত বিষয় হল, এই বিষয়ে কোনও বদল আনতে হবে আপনাকে তাদের থেকেই সম্মতি নিতে হবে। সেখানে কেউ সম্মত হয়, কেউ সৎভাবে নিজেদের মতামত জানায়, আবার কেউ পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ে।’

তবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন, ‘এখন গোটা বিশ্ব বুঝতে পারছে যে এখানে বদল আসা দরকার এবং ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া উচিত। আর বিশ্বব্যাপী এই ভাবনাকে বছর বছর বাড়তে দেখছি আমি।’ বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই স্থায়ী সদস্যপদ পাব। কিন্তু যে কোনও বড় কিছু পেতে গেলে কঠোর পরিশ্রম অবশ্যই প্রয়োজন হয়। আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে আর এখন তো আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে।’

Next Article