নয়া দিল্লি: সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Co-operation Organisation) বা এসসিও সামিটে (SCO Summit) যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই উজবেকিস্তানের শহর সামারকন্ডে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উজবেকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঠাসা কর্মসূচি। সেখানে রাশিয়া, উজবেকিস্তান ও ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নতিতে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরও একটি বিশেষ কারণে এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। লাদাখ নিয়ে সংঘাতের পর শুক্রবার এই প্রথম মুখোমুখি হতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য এসসিও সামিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মোদী-জিংপিং বৈঠকের জল্পনা এই সম্মলেনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। দুই প্রতিবেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের এখনও কোনও খবর নেই। পূর্ব লাদাখে দীর্ঘ দু’বছর ধরে চলে আসা উত্তেজনার পর সম্প্রতি ভারত ও চিনা সৈন্যরা সেখান থেক সরে গিয়েছেন। লাদাখে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতে দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছিল। অনৈতিকভাবে ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের যে চেষ্টা লাল ফৌজ করেছিল, তাঁর বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা। লাদাখে সংঘাতের সময় থেকে মোদী ও জিংপিংয়ের মধ্যে সরাসরি কোনও কথা হয়নি।
বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াতরা বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকের কথা জানালেও জিংপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের জল্পনা খারিজ করেছেন। অন্যদিকে চিনের তরফেও দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। চিন, ভারত, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং পাকিস্তান সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের স্থায়ী সদস্য। মোদীর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। রাশিয়ার তরফে ইতিমধ্যেই এই বৈঠকের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। মোদী-পুতিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কথা হতে পারে বলেই খবর।