নয়া দিল্লি: ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ‘এম্প্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড’ বা ইপিএফ-এর আমানতের উপর ৮.১ শতাংশ সুদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শুক্রবার (৩ জুন) এই বিষয়ে অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। গত মার্চ মাসেই ‘এম্প্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন’, ইপিএফ-এর সুদের হার ৮.৫ শতাংশের থেকে কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করার সুপারিশ করেছিল। এদিন ইপিএফও-র সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক।
এর ফলে, গত চার দশকের মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এম্প্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার সবথেকে কম হল। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, এর আগে ১৯৭৭-৭৮ অর্থবর্ষে এম্প্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার ছিল ৮ শতাংশ। তারপর থেকে, ইপিএফ-এর সুদের হার এর আগে আর এতটা কমেনি। এদিন অর্থমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের পরই, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে অ্যাকাউন্টে সুদ বাবদ অর্থ জমা শুরু কর হবে।
বস্তুত, এই নিয়ে পর পর দুই অর্থবর্ষে ধারাবাহিকভাবে কমল ইপিএফ-এর সুদের হার। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ইপিএফ-এর সুদের হার ছিল ৮.৬৫ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চে ইপিএফও, সুদের হার কমিয়ে ৮.৫ শতাংশ করেছিল। এই হারও ছিল গত ৭ বছরের মধ্যে সবথেকে কম।
ইপিএফ-এর সুদের হার কমলেও, এই বিষয়ে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কর্মীদের সুবিধাইস হবে বলে মনে করছেন ইপিএফও-র ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য কে ই রঘুনাথন। নিয়োগকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব করা রঘুনাথন বলেছেন, শ্রম ও অর্থ মন্ত্রক যে গতিতে ইপিএফ-এর সুদের হারে অনুমোদন দিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কর্মীদের হাতে তহবিলের প্রয়োজন। এই তহবিল ব্যবহার করে তারা সন্তানদের শিক্ষার খরচের মতো প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে সাহায্য করবে।