Return of Kohinoor: বিলেত থেকে কোহিনূর হিরে ফেরাতে উদ্যোগী মোদী সরকার, এই বছরই বড় পদক্ষেপ
Return of Kohinoor: ঔপনিবেশিক শাষণের সময় ব্রিটেনের লুঠ করে নিয়ে যাওয়া কোহিনুর হিরে এবং হাজার হাজার অন্যান্য ধনরত্ন পুনরুদ্ধারের জন্য শীঘ্রই কূটনৈতিক স্তরে আলাপ আলোচনা শুরু করবে। এই কূটনৈতিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে কে "রেকনিং উইদ দ্য পাস্ট"।
নয়া দিল্লি: ঔপনিবেশিক শাষণের সময় ব্রিটেনের লুঠ করে নিয়ে যাওয়া কোহিনূর হিরে এবং হাজার হাজার অন্যান্য ধনরত্ন পুনরুদ্ধারের জন্য শীঘ্রই কূটনৈতিক স্তরে আলাপ আলোচনা শুরু করবে। এই কূটনৈতিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে কে “রেকনিং উইদ দ্য পাস্ট”। শনিবার, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব গোবিন্দ মোহন বলেছেন, “এটা সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যক্তিগতভাবে ভারতের এই নিদর্শনগুলি ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় জোর দিয়েছেন। তাঁর কাছে এটা একটা প্রধান অগ্রাধিকারের বিষয়।” লন্ডনে যে ভারতীয় কূটনীতিকরা আছেন, তাঁরাই বিভিন্ন ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিদর্শনগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করবেন। এই বছরই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই নিদর্শনগুলির হয় যুদ্ধের লুণ্ঠন হিসাবে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল অথবা ঔপনিবেশিক শাসনের সময় চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
১৮৪৯ সাল থেকে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দখলে রয়েছে কোহিনূর হিরে। ১০ বছর বয়সী কিশোর, মহারাজা দলীপ সিং-কে ‘লাহোর চুক্তি’ স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিল ব্রিটিশ সরকার। সেই চুক্তির মাধ্যমেই কোহিনূরের দখল নিয়েছিল ব্রিটিশ রাজ পরিবার। রানী ভিক্টোরিয়া একটি ব্রোচ হিসাবে কোহিনূর হিরেটি পরতেন। পরে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সময় রানীর মুকুটের অন্যতম রত্ন ছিল কোহিনূর হিরে। এটির বর্তমান মালিক রাজা তৃতীয় চার্লস। তবে, রাজা চার্লস বা তাঁর স্ত্রী কুইন কনসর্ট ক্যামিলার মুকুটে কোহিনূর হিরে রাখা হয়নি। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর সময়ই কোহিনূর ফেরানোর আওয়াজ উঠেছিল। বিতর্ক আর না বাড়াতেই মুকুটে কোহিনূর না রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ পরিবার।
ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের দাবি, কোহিনূর হিরে ব্রিটিশ রাজ পরিবারকে উপহার দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ বলেন, এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। তবে, এখনও ব্রিটিশ ইতিহাস স্বীকার করেনি যে তারা এক ১০ বছরের কিশোরের কাছ থেকে এটি লুঠ করে নিয়ে গিয়েছিল। সেই কিশোরের মা তখন ব্রিটিশদের হাতে বন্দি ছিলেন। কাজেই কোহিনূর তুলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না মহারাজা দলীপ সিং-এর। ভারতীয় ঐতিহাসিকরা কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রমাণ পেশ করে জানিয়েছেন, ঔপনিবেশিক শক্তি প্রয়োগ করেই ভারত থেকে কোহিনূর নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা।
তবে, শুধু কোহিনূর হিরে তো একটি রত্ন মাত্র। ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে ভারত থেকে যে কত সম্পদ ব্রিটিশরা লুঠ করেছে, তা কল্পনাতীত। অর্থনীতিবিদ উত্সা পট্টনায়কের গবেষণা অনুসারে, অর্থমূল্যে এই সম্পদের পরিমাণ হবে প্রায় ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার।