Akhtar Ali: ‘মেয়েটাকে এক অফিসার বলেছিল একরাত কাটাতে হবে’, সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন, এবার ফের ‘বোমা ফাটালেন’ আক্তার

Murshidabad Medical College: একসময় সন্দীপ ঘোষ তথা আরজি কর নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন আখতার। তাঁর বক্তব্য, তিনি যদি সরব না হতেন, সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করতেন তাহলে এখনও বহাল তবিয়তে বাইরে ঘুরতেন সন্দীপ।

Akhtar Ali: 'মেয়েটাকে এক অফিসার বলেছিল একরাত কাটাতে হবে', সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে মুখ খুলেছিলেন, এবার ফের 'বোমা ফাটালেন' আক্তার
আক্তার আলি, ডেপুটি সুপার, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2025 | 5:49 PM

মুর্শিদাবাদ:  তিলোত্তমার ঘটনার জুনিয়র চিকিৎসকরা বারবার বলে এসেছেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে তাঁদের সুরক্ষা দিতে হবে। মহিলা চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে কি এখনও সুরক্ষিত মহিলারা? মুখ খুললেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আক্তার আলি। তাঁর বক্তব্য এখনও অনেক মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী আছেন, যাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। শ্লীলতাহানির শিকার হতে হচ্ছে।

একসময় সন্দীপ ঘোষ তথা আরজি কর নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন আখতার। তাঁর বক্তব্য, তিনি যদি সরব না হতেন, সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করতেন তাহলে এখনও বহাল তবিয়তে বাইরে ঘুরতেন সন্দীপ। এ দিন, আক্তার বলেছেন, “এখনও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে মহিলাদের পরিস্থিতি বদলায়নি।” তিনি এও বলেন, “কাজের জায়গায় মহিলাদের টার্গেট করা হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিষয়টি কেউ জানে না। কর্তৃপক্ষ সরব হয়নি। তাই প্রকাশ্যে আসছে না।

ডেপুটি সুপার বলছেন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা অনেক। তাঁদের মধ্যে অনেক মহিলা এই হেনস্থার শিকার। তিনি বলেন, “এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে না কারণ কিছু লোক মহিলাদের ভয় দেখাচ্ছেন। তাঁদের কেরিয়ার নষ্ট করে দেবেন বলছেন।” এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করে আখতার বলেন, “পুলিশে অভিযোগ জানাতে মেয়েরা ভয় পাচ্ছে। আমি এমন কেস জানি। মেয়েটি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন। আমি নাম করছি না। আমি নিজে সিএমওএইচের কাছে গিয়েছিলাম। মেয়েটির কাউন্সেলিং করিয়েছি। একটা অফিসার ওকে বলেছিল তোমাকে আমার সঙ্গে একরাত কাটাতে হবে।”

সম্প্রতি, শান্তিপুর স্টেট জেনারেল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এই ধরনেরই অভিযোগ উঠেছিল। প্যাথলজি বিভাগের এক মহিলা চিকিৎসক অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে সুপার হুমকি দিয়েছেন। ওই মহিলা চিকিৎসক জানান, নাইটি ডিউটি করতে না চাওয়ায় তাঁকে সুপার বলেন, “কথা না শুনলে দ্বিতীয় তিলোত্তমা ঘটিয়ে দেব।” এরপর ফের আক্তার মুখ খোলায় প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে।