নয়া দিল্লি: বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে, বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) এক বিরাট সিদ্ধান্ত নিল মোদী মন্ত্রিসভা। ২০২৩ সাল বুঝিয়ে দিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর চালিকা শক্তি হতে চলেছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ভারতে এই নতুন যুগের প্রযুক্তির বিকাশকে উত্সাহ দিতে ‘ইন্ডিয়াএআই মিশন’ ঘোষণা করল সরকার। এর জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এদিন ১০,৩৭১.৯২ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করেছে। এর আগে, বিভিন্ন মঞ্চে এআই ক্ষেত্রে ভারতকে নেতৃত্বের স্থানে তুলে আনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বারবার বলেছেন, এই ক্ষেত্রে ভারত বিশাল অবদান রাখতে পারে। এআই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই আগ্রহের প্রেক্ষাপটেই মন্ত্রিসভা এদিন এই বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়া এআই মিশন’-এর এই তহবিল এআই কম্পিউটিং পরিকাঠামো তৈরিতে ব্যবহার করা হবে। এআই কম্পিউটিং ক্ষমতা স্থাপন করতে চাওয়া বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তুকি দেওয়া হবে। এআই স্টার্ট-আপ স্থাপনের জন্য মূলধনও দেওয়া হবে এই তহবিল থেকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ১০,০০০টিরও বেশি জিপিইউ-ওয়ালা সুপারকম্পিউটিং ক্ষমতার এক এআই ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে। স্টার্টআপ সংস্থা, শিক্ষা জগৎ, গবেষক এবং শিল্প জগতকে সহ্গে নিয়ে এই এআই সুপারকম্পিউটিং পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। এই মিশনের অধীনে, জাতীয় স্তরে একজন ডেটা ম্যানেজমেন্ট অফিসার মোতায়েন করা হবে।
গত বছরই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এআই মিশনের ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ভারতে এআই কম্পিউট পাওয়ারের পর্যাপ্ত ক্ষমতা স্থাপন করাই এই মিশনের লক্ষ্য। দেশের স্টার্ট আপ এবং উদ্ভাবকরা এই মিশনের ফলে উপকৃত হবেন। এই মিশনের অধীনে, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে কাজে লগানো হবে। মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, ভারতে এআই তৈরি এবং ভারতের জন্য এআই তৈরির স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে ইন্ডিয়াএআই মিশন। সামাজিক সুবিধার ক্ষেত্রে এই নয়া প্রযুক্তিকে কীভাবে ইতিবাচকভাবে প্রয়োগ করা যায়, তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেখিয়ে দেবে ভারত। এই মিশন, এআই ক্ষেত্রে ভারতের যুবকদের প্রতিভা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন পীযূষ গোয়েল।